শিরোনাম
◈ বাংলা‌দেশ জিত‌লো তামিমের সেঞ্চুরিতে, সি‌রিজ শেষ হ‌লো সমতায়  ◈ তোপের মুখে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিল পুলিশ (ভিডিও) ◈ ‘ফজু পাগলা’ উপাধি যারা দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই: ফজলুর রহমান ◈ সরকার থেকে পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ ◈ ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাতিল হবে ৬ ধরনের দলিল: আসছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা ◈ আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক: সিইসি নাসির উদ্দিন ◈ 'র' এর মাধ্যমে শিখ নেতাদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত শাহ, চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্র প্রকাশ! (ভিডিও) ◈ জেট ফুয়েলের দাম আরও বাড়ল, বিমান ভাড়া কি বাড়বে? ◈ আ.লীগের বড় পরিকল্পনা ফাঁস, গ্রেপ্তার ২৫ ◈ ১৮ নভেম্বর ‘প্রবাসী ভোটার অ্যাপ’ উদ্বোধন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৮ দুপুর
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আতঙ্কে রাজধানীবাসী: বহুতল ভবনেও বিষধর সাপ! চার মাসে ঢাকা থেকে উদ্ধার হলো ৩৫২টি, যার ৩৪৯টিই বিষধর

রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা আনিকা তাবাসসুম জারিন। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে তাদের ভবনের নবম তলা থেকে তিনটি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ খবর শুনে জারিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। শুধু জারিনের পরিবার কিংবা তাদের ভবনে থাকা অন্যদের মধ্যে নয়; সাপ উদ্ধারের এ ঘটনায় আশেপাশের ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি রাজধানীর আরও বেশকিছু এলাকায় আবাসিক ভবন থেকে বিষধর সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজধানীবাসীর মধ্যে ভয় ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

জারিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশে সাধারণত বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়, তা-ও সেটা গ্রামাঞ্চলে। কিন্তু রাজধানীতে বহুতল ভবনে সাপ, এটা কিছুটা বিস্ময়কর। শুধু এক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটলে এটা ব্যতিক্রম হিসেবে মনে করতাম, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে আমরা কিছুটা আতঙ্কিত।’

জারিনদের নবম তলার ওই ফ্ল্যাট থেকে বিষধর সাপগুলো উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। মোহাম্মদপুর ছাড়াও গত কয়েকমাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা সাপ উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে উত্তরার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে থেকে বিষধর গোখরা উদ্ধার করা হয়েছে। কাফরুল, বছিলা, মেরাদিয়া, মিরপুর, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান, আজমপুর নিকেতন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আবাসিক ভবন থেকেও বিভিন্ন ধরনের সাপ উদ্ধার করেছে তারা। এছাড়া বনশ্রীর একটি বাড়ি ও কারখানা থেকে বিশাল আকারের গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সাপ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে খিলগাঁও, জুরাইনসহ আরও কিছু এলাকায়।

অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে তাদের উদ্ধারকৃত অধিকাংশ সাপই বিষধর। উদ্ধার হওয়া সাপগুলোর মধ্যে ভয়ংকর বিষধর খৈয়া গোখরা (ইন্ডিয়ান কোবরা), পদ্মগোখরা বা মনোকেল্ড কোবরা, ওয়ানস ক্রেট ও রাসেল ভাইপার উল্লেখযোগ্য।

চার মাসে ঢাকা থেকে ৩৫২টি সাপ উদ্ধার

সংগঠনটির তথ্যমতে, গত চার মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫২টি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪৯টি সাপ বিষধর।

বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা সাপ ও বন্যপ্রাণী উদ্ধারে কাজ করি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকি। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, কারও বাড়িতে যত রাতেই সাপ পাওয়ার খবর আসে, আমরা যেন ছুটে যাই।’

বহুতল ভবনে সাপ উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বহুতল ভবনে সাপ উদ্ধারের ঘটনা কিছুটা বিস্ময়কর হলেও সত্য। যেসব বহুতল ভবনে সাপ পাওয়া গেছে, সেসব বাড়ির সঙ্গে গাছ ছিল অথবা অনেকেই শখ করে ভবনের লতানো গাছ লাগিয়েছিলেন। আমরা অনুমান করছি, সাপ সেসব গাছের লতা বেয়ে উপরে উঠেছে। যার কারণে বহুতল ভবনেও সাপ পাওয়া গেছে।’

সাপের উপদ্রব বৃদ্ধির ফলে রাজধানীর বাসিন্দাদের জন্য বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রেসকিউ টিম কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, যত্রতত্র উচ্ছিষ্ট খাবার বা ময়লা আবর্জনা না ফেলা, বাসাবাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সাপ দেখা গেলে নিজে কিছু না করে বা আতঙ্কিত না হয়ে রেসকিউ টিমে খবর দেওয়া ইত্যাদি।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা থেকেই দুই শতাধিক সাপ উদ্ধার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকা থেকে গত চার মাসে দুই শতাধিক সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ইট-পাথরের এই শহরে বিষধর সাপের এমন উপদ্রবের ফলে কিছুটা আতঙ্কে আছেন সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত চার মাসে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫২টি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা থেকেই দুই শতাধিক সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।’

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খিলগাঁও এলাকাতেও সাপের উপদ্রব বেড়েছে। গত সপ্তাহে আমার পাশের বাসা থেকে দুই বার কয়েকজন এসে সাপ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। তারপর থেকে আমার বাসাসহ পুরো ফ্ল্যাটের মানুষ আতঙ্কে আছে। কখন যে কী হয় তা ভেবে আমি নিজেও আতঙ্কিত।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জুরাইনের বাসিন্দা আজহার আলী বলেন, ‘জুরাইন এলাকা থেকেও কিছুদিন আগে সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বন বিভাগে ফোন দেওয়ার পর তাদের কোনও সাড়া মেলেনি। পরে এক বড় ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে ফোন দিলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়ে সাপ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’

সাপের খবরে আতঙ্কিত রাজধানীর বাসিন্দারা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, গ্যারেজ এমনকি বহুতল ভবন থেকে বিষধর সাপ উদ্ধারের খবরে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

সাপের উপদ্রবের বিষয়ে ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা হিমেল চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাপ যদিও অকারণে মানুষের ক্ষতি করে না, তবুও এই ইট-পাথরের শহরে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি একটি শঙ্কার কারণ। যদিও এখন পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও সাপের দংশনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, তবুও আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে সাপের উপদ্রব বাড়ার কারণ এবং এটি নিরাময়ে সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

সাপ উদ্ধারের বিষয়ে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের আদনান আজাদ বলেন, ‘ঢাকায় আমরা যেসব সাপ উদ্ধার করেছি, তার বেশিরভাগই পদ্মগোখরা। এখন পদ্মগোখরার প্রজননকাল। তাই পদ্মগোখরা সাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত পানির অবস্থান অর্থাৎ জলাশয়, যেখানে তার আশেপাশেই এই সাপ বেশি থাকে। আমাদের টিম প্রায় প্রতি রাতে কল পাই। আমরা রাজধানীর মানুষের সহযোগিতায় সব সময় প্রস্তুত আছি।’

তবে সাপ নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমরা সাপকে ভয় পাই, কিন্তু এরা শহর বা গ্রামের ক্ষতি করে না, বরং ইঁদুর দমন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। সাপ লোকালয়ে আসার কারণ, আমরা তাদের বাসস্থান কেড়ে নিচ্ছি। পরিকল্পিত নগরায়ণ হলে মানুষের সঙ্গে প্রাণ-প্রকৃতির সহাবস্থান সম্ভব।’

সাপে কাটা রোগীরা রাজধানীর কোন হাসপাতালে যাবেন?

রাজধানীর সব হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা বা অ্যান্টিভেনম নেই। ফলে রাজধানী ও আশপাশের এলাকার মানুষ যদি না জানেন কোথায় গেলে চিকিৎসা মিলবে; এতে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। রাজধানীর অনন্ত এক ডজন হাসপাতালে অ্যান্টিভেনমের খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, বারডেম জেনারেল হাসপাতালে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অ্যান্টিভেনমের সন্ধান মেলেনি। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অ্যান্টিভেনম নেই, অ্যান্টিভেনমের জন্য আবেদন করা হয়েছে অথবা সাপে কাটা রোগী তেমন একটা আসে না। এসব হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া না গেলেও হাসপাতালের পাশে থাকা ফার্মেসিতে ঠিকই অ্যান্টিভেনম রয়েছে। ফার্মেসিগুলোতে অবশ্য অ্যান্টিভেনমের দাম বেশ চড়া।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে কেবলমাত্র ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা হয়। হাসপাতাল দুটিতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অ্যান্টিভেনমের বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা হয় এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম আছে।’

ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালেও অ্যান্টিভেনম থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

অ্যান্টিভেনমের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সব উপজেলা, জেলা ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তারা সাপে কাটার চিকিৎসায় অ্যান্টিভেনম ব্যবহারে সক্ষম। তবে স্পেশালাইজড হাসপাতালগুলোতে দেওয়া হয়নি। কোনও হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিভেনমের জন্য আবেদন করলে সেখানেও দেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃত সাপগুলো কী করা হয়?

বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী, বন্যপ্রাণী ধরা ও মারা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অর্থাৎ, আইনানুযায়ী বন্যপ্রাণী বা সাপ উদ্ধারের পর সেগুলো প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে দিতে হবে। আইনগতভাবে উদ্ধারকৃত সাপগুলো কোনও ব্যক্তির নিজের কাছে রাখার অনুমোদন নেই।

ঢাকায় উদ্ধারকৃত সাপগুলো কী করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আদনান আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত কোনও সাপ মারা হয়নি। আমরা সাপগুলো উদ্ধারের পর লোকালয় থেকে অনেক দূরে, সাধারণত বনাঞ্চলে, যেখানে সাপ তার নিজস্ব পরিবেশ খুঁজে পায় এবং মানুষের সংস্পর্শে না আসে এমন স্থানে অবমুক্ত করেছি।’

সাপ উদ্ধারের সময় কোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিনা এবং এই কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারিভাবে কোনও সহযোগিতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনে যারা আছেন সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আর এর পুরো দেখভাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজে করেন।’

আদনান আজাদ আরও বলেন, ‘সাপ উদ্ধার কার্যক্রম ছাড়াও আমরা বিড়াল-কুকুর উদ্ধার কার্যক্রমসহ তাদের চিকিৎসা নিয়ে কাজ করি। এছাড়াও যেকোনও অবলা প্রাণীকে সহযোগিতা ও সেবাদান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরে আমরা বনানীতে অস্থায়ী একটি ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা করবো। সেখানে বিনামূল্যে সব প্রাণীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’ 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়