রাজধানীর ডেমরায় ব্যবসায়িক পার্টনারের স্ত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ নভেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত সাজ্জাদ হোসেন (৪১)-কে আদালতে পাঠালে বিকালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনাটি ঘটে ডগাইর পূর্বপাড়া গ্রীন সিটি এলাকায়। এ বিষয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় ভুক্তভোগীর স্বামী মো. ইমাম হোসেন ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। সাজ্জাদ রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া বাজার রোড এলাকার মৃত ছিদিক আহমেদের ছেলে।
জানা যায়, ২০২২ সাল থেকে ইমাম হোসেনের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলো অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন । ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পার্টনারশিপ শেষ হলেও তাদের পারিবারিক যোগাযোগ বজায় ছিল। সেই সুযোগে সাজ্জাদ প্রায়ই ভূক্তভোগীর ডেমরার বাসায় যাতায়াত করতো। ২০২৩ সালের এক সন্ধ্যায় সাজ্জাদ হোসেন ভূক্তভোগীর বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে। পরে এসব ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে এবং প্রতিবারই গোপনে ভিডিও ধারণ করে। ২০২৫ সালের ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটায় সাজ্জাদ পুনরায় ওই বাসায় গিয়ে ভুক্তভোগীকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেয়।
রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে গত ৫ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী ইমাম হোসেনের ই-মেইলে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সাজ্জাদ ভুক্তভোগীর ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক আইডি খুলে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেয় এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছেও পাঠায়।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. মাহমুদুর রহমান জানান, সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ডিভাইসগুলোতে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।