শিরোনাম
◈ একমাত্র বিদেশি সামরিক ঘাঁটি থেকে গোপনে কেন সৈন্য সরালো ভারত? ◈ রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ঢাকার: ‘অযথার্থ ও কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী’ ◈ কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও! ◈ ডরি ফিসের নামে কী খাচ্ছেন? বাজারে 'ডরি ফিস' খুঁজতে গিয়ে সামনে এলো ভয়ংকর তথ্য!(ভিডিও) ◈ বাংলা‌দেশ জিত‌লো তামিমের সেঞ্চুরিতে, সি‌রিজ শেষ হ‌লো সমতায়  ◈ তোপের মুখে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিল পুলিশ (ভিডিও) ◈ ‘ফজু পাগলা’ উপাধি যারা দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই: ফজলুর রহমান ◈ সরকার থেকে পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ ◈ ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাতিল হবে ৬ ধরনের দলিল: আসছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা ◈ আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক: সিইসি নাসির উদ্দিন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৫৯ রাত
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১২০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিদেশে বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জন বিরুদ্ধে ১৭টি অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আজ রোববার বিকেলে সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস, অটাম লুপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস, কোজি অ্যাপারেলস, এসেস ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস, কাঞ্চপুর অ্যাপারেলস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস, প্লাটিনাম গার্মেন্টস, স্কাইনেট অ্যাপারেলস, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস, আরবান ফ্যাশনস ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।

তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল শাখা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত না এনে বিদেশে পাচার করা হয়। অর্থগুলো দুবাইভিত্তিক আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়।

আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে।

২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি দেখানো হলেও সেই অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি। এভাবে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন না করে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলা করে।

এসব মামলায় আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করে সিআইডি।

এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলার দোহার থানার প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি ও স্থাপনা, গুলশানের ‘দ্য এনভয়’ ভবনের ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, গুলশান ৬৮/এ সড়কের ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।

এ ছাড়া আসামিদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।

১৭টি মামলায় মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেন সিআইডির প্রধান। সেগুলো আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এসব মামলায় এরই মধ্যে জেলহাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমানকে চলতি বছরের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

রাষ্ট্রের অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে এবং জাতীয় অর্থনীতি সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ। 

সূত্র: আজকের পত্রিকা 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়