এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর–অক্টোবরের জন্য ১৬১ কোটি ডলার পরিশোধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আজ রোববার গ্রস রিজার্ভ কমে ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে দেড়শ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গত সেপ্টেম্বরে যা ৩০ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ রয়েছে ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। গত সেপ্টেম্বরে যা ২৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার ছিল।
আকু হলো- আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে প্রতি দুই মাস পর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যেকার দায় পরিশোধ হয়। এর আগে শ্রীলঙ্কা আকুতে থাকলেও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে তারা নিজ থেকে বেরিয়ে গেছে। দেশটির কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও এখনও তারা যুক্ত হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আকুর দায় শোধের আগে গত বুধবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৮ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২০২৩ সালের ৮ মার্চ কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। ২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময় রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী গত সপ্তাহের রিজার্ভ ছিল ৩২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থপাচার নিয়ে কড়াকড়ি করছে সরকার। এতে করে হুন্ডি কমে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৮ নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৪ শতাংশ বেশি। প্রবাসী আয়ে গত অর্থবছর প্রায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এসব কারণে গতবছরের আগস্টের পর থেকে ডলারের দর ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
সূত্র: সমকাল