সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ: ব্রাজিল গতকাল হারায় সবচেয়ে লাভ হইলো ব্রাজিলের সংগ্রামী জনতার। ব্রাজিলের কিংবদন্তী শ্রমিক নেতা লুলা ডা সিলভার যে লড়াই সেই লড়াইয়ের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী বলসেনারার জন্য এই ট্রফিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
ব্রাজিলের ফুটবল হচ্ছে কোটি কোটি দাসের সন্তানদের খেলা, যেই দাসদের সারা দুনিয়া, বিশেষত আফ্রিকা থেকে পাচার করা হতো। ব্রাজিলের ফুটবলকে বলা হয় 'ক্রিওল ফুটবল', কারন এই ক্রিওল ভাষা ছিলো দাসদের কমন ভাষা।
আর্জেন্টিনা আর উরুগুয়েতে যে বৃটিশ রেলওয়ে আর শিপিং অফিসাররা ছিলেন তাদের মাধ্যেমে ফুটবল খেলাটা লাতিন আমেরিকায় আমদানী হয় কিন্তু ব্রাজিলে পৌছে, কালো দাসেদের সন্তানদের সুবাদে এর আংগিক আর শৈলী বদলে যায়। ভিক্টোরিয়ান যুগের ট্যাকল ভিত্তিক 'ম্যানলি' খেলা ট্যাংগো নাচের আদলে শিল্প হয়ে উঠে। দাসেদের পায়ে ফুটে ফুল।
আর সেই দাসেদের উত্তরপুরুষেরা পাপের শহর রিওডি জেনোরার কুখ্যাত বস্তি বা ফাভোলাতে সবাইকে কাটানোর, চুরি করে পালানোর যে বিদ্যা শিখে সেইটা ফুটবল মাঠে পরিণত হয় ফাভোলা স্টাইল বা জোগো বণিতায়।
সেই রোমান্টিক গল্প বলসেনারোর মতো আমাজনখেকো টাইরান্টের হয়ে গান গায়নি। স্বপ্নের মারাকানা ছুড়ে ফেলে দিয়েছে স্বৈরাচারের খায়েশ। আমাজনের আদিবাসী, ব্রাজিলের সংগ্রামী জনতা আর কমরেড লুলা সিলভার জয় হোক। ফুটবল হয়ে উঠুক জনতার অস্ত্র, যেমনটা সবসময় ছিলো। (ফেইসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহিত)
আপনার মতামত লিখুন :