ইমরুল শাহেদ: সময়ের আলোচিত মডেল ও নায়িকা দীঘি মুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞার এ সময়টা ঘরে বসেই কাটাচ্ছেন। জানালেন, এই সময়টাতে তিনি ঘরের বাইরে যাবেন না। তাহলে এই সময়টা তার কিভাবে কাটবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর এবারই কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হলো। আমার হাতে অনেকগুলো কাজ জমে আছে। তার মধ্যে আছে বেশ কিছু পান্ডুলিপি। পড়ার সময় পাচ্ছিলাম না। এই সময়টাতে সেই পান্ডুলিপিগুলো পড়ব এবং কাজের জন্য নতুন ছক তৈরি করব। এছাড়া আমার পড়াশোনা আছে। অনলাইন ক্লাসেও আমার একটা সময় কেটে যায়। এছাড়া বাসার টুকটাক কাজতো আছেই। সেগুলোও করব।’ চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য দীঘি একজন সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী। শাপলা মিডিয়া তাকে বেশ কিছু ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছিল। তিনটি ছবি করার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে। নায়ক শান্ত খান এবং দীঘি দু’জনই এখন আর শাপলা মিডিয়ায় কাজ করছেন না। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ নির্মাতা দিয়ে বিষয় বৈচিত্র্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করার উদ্যোগ ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে সব অভিজ্ঞ নির্মাতাদের প্রকল্পগুলো স্থগিত করে দিয়ে একশ’ ছবি নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এতে চলচ্চিত্রশিল্প উপকৃত হয়েছে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা বলবে ভবিষ্যত। তবে ইতোমধ্যে কিছু কাজে প্রতিষ্ঠানটি সাফল্য পেয়েছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্রশিল্পের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে।
তবে দীঘির শাপলা মিডিয়ার ছবিগুলো না করার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে একটি ছবি নিয়ে কথা হয়েছিল। আর গুলো ছিল মুখে মুখে।’ কাজী হায়াত, মালেক আফসারীসহ আরো নির্মাতাদের ছবিতে কাজ করার কথা হয়েছিল দীঘির। কিন্তু সেগুলো আর হলো না। ইতোমধ্যে দীঘি অভিনীত দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ও ‘টুঙ্গি পাড়ার মিয়া ভাই’।