ফজলুল বারী: লোকজন এর মাঝে পরীমনির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছে। এর পক্ষে একশ একটা কারণও বলা সম্ভব। কারণ যখন দেশে সিনেমা শিল্প বলে কিছু নেই তখন সিনেমার নায়িকার আয়রোজগার বা আইনানুগ চলাফেরা খোদায়ী কুদরতে চলে না। কবরী-শাবানা-ববিতা এদেশের সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। অর্থ-বিত্তেও তারা ছিলেন এক নম্বর। তাদের বিরুদ্ধে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারেনি। কিন্তু যারা নিজেরা নিজেদের ফেরেশতা মনে করে পরীমনির বিষয়ে নতুন লাইন নিচ্ছেন, তারা কিন্তু তাদের লেখাকে সহজ বীরত্ব হিসেবে নিয়েছে!
বিদেশেও এই ক্লাবে সেই ক্লাবে এমন যুক্তিও দেখাচ্ছেন। আরে মিয়ারা বীরপুরুষ যদি সাজবেন কঠিনটা আগে কেন ধরেন না? বিদেশের কয়টা ক্লাব ঘুরেছেন? পৃথিবীর এমন একটা ক্লাব বের করতে পারবেন, যে ক্লাবের সভাপতি অথবা মালিক দেশের পুলিশের প্রধান? যে দেশে মদ খাওয়া হারাম অথবা পুলিশ গিয়ে মানুষের বাড়িতে মদের বোতল খোঁজে সে দেশে মদ খাওয়ার ক্লাব পুলিশ প্রধানের হয় কী করে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা বিশ্বাসকে অতো ফালতু মনে করেছেন?
লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক।