সনত চক্রবর্ত্তী:[২] ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে সময় পার করছে সব শ্রেনীর মানুষ। প্রাণঘাতী করোনা আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব। করোনার ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর দৃশ্যপট। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো এখন গৃহবন্দী।
[৩] এই অবস্থায় নিরাপদে থাকতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে জনসমাগম বা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা। আর এই লম্বা ছুটিতে বাঙালির ঐতিহ্য রুঙিন ঘুড়ি নিয়ে মেতে আছেন বোয়ালমারী উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় তরুণ প্রজন্ম।
[৪] শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের অনেকেই একসাথে ফাঁকা মাঠের মধ্যে ঘুড়ি উড়াতে দেখা যায়।বিকাল হলেই যেন বোয়ালমারী উপজেলা ময়না গ্রাম, মিরেরচর, হাঁটু ভাঙা, চন্দনী,ফেলান নগর,অমৃত নগর তে চলে ঘুড়ি উৎসব। দূর থেকে মনে হয় রং বেরংয়ের ঘুড়ির মেলা বসেছে।অনেকে আকাশে ঘুড়ি পাঠিয়ে এ যেন করোনাকালীন সময়ে মুক্তির চেষ্টা করছে ।
[৫] এলাকাবাসী বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কবে উন্নতি হবে তা বলা যাচ্ছে না। পুনরায় বাড়ীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করার ফলে অনেকের মধ্যেই অবসন্নতা ও অবসাদ ভর করছে। অনেকেই ঘুড়ি উড়িয়ে সেই অবসন্নতা ও অবসাদ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। মুক্ত আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে বদ্ধ হয়ে থাকা এক মানসিক যন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মেলছে।
[৬] ময়না গ্রামের নবম শ্রেণির ছাাত্র সুজিত কৃৃত্তনীয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। নিয়মিত বিকেলে মাঠে খেলাধুলা এখন তো আর সেটা সম্ভব নয়। সবসময় বাড়িতে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না। এদিকে মা বাবা বাড়ী থেকে বের হতে দেন না। অন্যদিকে একঘেয়েমী সময় কাটাতে ভালো লাগে না,তাই বিকেলে এখন সবাই মিলে ঘুড়ি আকাশে ওড়ানো হয়।
[৭] বোয়ালমারী উপজেলা সাংবাদিক মুকুল বোস বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অনেকে জীবন যাপন করছে, হয়ে পড়েছে গৃহবন্দী। গৃহবন্ধি থাকার ফলে মানুষের মনে যে অবসন্নতা ও অবসাদ জমেছে, এই ঘুড়ি ওড়ানোর সময় তা কেটে যায়। মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
[৮] ময়না গ্রামের বাসিন্দা কৃষক লীগ নেতা বেলায়েত বারী বলেন, এতদিন গৃহবন্দী থেকে হাঁপিয়ে উঠেছে সবাই । বিনোদনের জন্য এবং সামাজিক দুুুুরত্ব বজায় রেখে বিকাল বেলা সমায় পেলে ঘুড়ি আকাশে উড়াতে দেখি । ঘুড়ি আকাশে উড়ানোর দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :