মোজাফ্ফর হোসেন: রাজধানীতে অন্তত একটা সিনেমা হল বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন, সরকারিভাবে সেটা সংরক্ষণ করা উচিত। এজন্য স্টার সিনেপ্লেক্স বেশি বিলাসিতা হয়ে যায়। বলাকা এক্ষেত্রে উপযুক্ত। এটা একটা দর্শনীয় স্থান হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেট ফ্লিক্সে বিদেশি সিনেমা দেখার পাশাপাশি এই সংরক্ষিত সিনেমা হল দর্শনের মধ্যে দিয়ে জানবে এদেশে ড়হপব ঁঢ়ড়হ ধ ঃরসব বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিলো সিনেমা।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা : সিনেমা শিল্পের বিকাশের পূর্বশর্ত ভালো সিনেমা না সিনেমা হল? একসময় তুলনামূলকভাবে ভালো সিনেমা ও সিনেমা হল দুটোই ছিলো। কে আগে মরতে শুরু করেছে- সিনেমা না সিনেমা হল। কার মৃত্যু অনুসরণ করে কার মৃত্যু? সিনেমার মৃত্যু আগে ঘটেছে বললে আবার সিনেমার ভাইরা মাইন্ড করতে পারেন। ব্যবসায়ীদের ওপর দোষ চাপানো সহজ। শিল্পীরা চান পুঁজিপতিরা সিনেমায় চ্যারিটি করুক, সরকার অনুদান দিক; অথচ বিশ্ব সিনেমা দিয়ে ব্যবসা করে।
কোনো কোনো দেশের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় বিনোদন মাধ্যম থেকে। আমাদের এখানে এটা অনুদান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। সিনেমা যখন সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোশকতা বা অনুদান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হবে, তখনই ধরে নিতে হবে ওটা মরে গেছে। বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীর মতো চিড়িয়াখানায় আছে। এই দেশেই সত্তর-আশি-নব্বই দশকের দিকে সিনেমা নিজের শক্তিতেই টিকে ছিলো। এজন্য সরকারি অনুদানেরও প্রয়োজন হয়নি। সিনেমা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা ছিলো। ফেসবুক থেকে