সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ মাঠপর্যায়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জনসাধারণের অবাধে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োগ করা কিছু পদক্ষেপের কারণে সমালোচিত হয়েছে পুলিশ। এ অবস্থায় নাগরিকদের সমস্যা বিবেচনায় হোটেল-বেকারি খুলে দেওয়াসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১০টি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
[৩] নির্দেশনাগুলো হলো- অনেক মানুষের রান্না-বান্নার ব্যবস্থা নেই, তাই তাদের জন্য খাবার হোটেল ও বেকারি খোলা থাকবে। এসব হোটেল এবং বেকারিতে কর্মরতদের সড়কে চলাচল করতে দিতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য পণ্যের দোকান খোলা থাকবে এবং এসব দোকানে কর্মরতরা কাজে যোগ দিতে পারবেন। খাবার হোটেল থেকে গ্রাহকদের খাবার পার্সেল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কেউ হোটেলে খেতে চাইলে তাকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খেতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় যে কোনো নাগরিক একা যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন। চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, নিরাপত্তাকর্মী, মেডিকেল স্টাফদের মতো জরুরি সেবাদানকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। যেকোনো ক্ষেত্রে নাগরিকদের সঙ্গে পেশাদার আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া পুলিশ সদস্যরা এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে পুলিশের ভাবমূর্তি ও ভালো কাজ ধূলিস্যাৎ হয়।
[৪] নির্দেশনা পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, হোটেল বা বেকারির কর্মচারীসহ যারা রাস্তায় বের হবেন, পরিচয় নিশ্চিতে তাদের আইডি কার্ড থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
[৫] এছাড়া একাধিক থানার ওসিও নির্দেশনার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :