শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:২৩ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে নারীর যৌনতার জ্ঞান নাই, আগ্রহ নাই, সেই নারী হয় অস্বাভাবিক অথবা তিনি সতী, আর সতী মাত্রই ভন্ড

মুনমুন শারমিন শামস্ : একবার একজন বেশ সিনিয়র লেখক (নারী) তার ফেসবুক পোস্টে লিখলেন, তিনি নাকি কেনোদিন পর্নো দেখেন নাই। কোনোদিন কোনো চটি পড়ে দেখেননি। সেটা হতেই পারে। হয়তো হাতের কাছে পাননি। কিন্তু তার পোস্ট পড়ে বুঝা গেলো, এই যে তিনি চটি পড়েননি বা পড়েন না, কিংবা তিনি যে পর্নো দেখেননি বা দেখেন না, সেইটা নিয়া তার মধ্যে বিরাট এক গর্ব আছে। এই গর্বের নাম শুদ্ধতার গর্ব। বাংলার আপামর নারী সমাজ এই শুদ্ধতার ভ-ামি কইরা গর্বিত হওয়ার স্বভাব নিয়াই জন্মায় সম্ভবত। তো আমি সেই আপারে বিনীতভাবে কইলাম, আপা, আপনে একজন লেখক। লেখকের কৌতুহল থাকে বেশি। আবার তার ভ্রমণও হইতে হয় সর্বব্যাপী। তাইলে কৌতুহল থেকে কিংবা জিনিসটা কী জানার ইচ্ছা থেকেও কি কোনোদিন দেখেননি বা পড়েন নাই? অন্তত একজন লেখক তো লেখার স্বার্থেও চটির দুনিয়া ঘুরে দেখতে পারে! আপনার কী মনে হয়? তিনি কইলেন, তার নাকি জীবনেও এই ইচ্ছা হয় নাই। আমি মেনে নিলাম।

কিন্তু এই বক্তব্যের সঙ্গে তার যে দেমাগটুকু সেইটা নিলাম না। হয় তিনি ভ- অথবা একজন নির্জীব কৌতুহলহীন মানুষ। কৌতুহলহীন মানুষ কখনো লেখক হইতে পারে না। আর এই সর্বব্যাপী অনলাইনের যুগে একজন মানুষের চোখে পর্নো বা চটি কোনোদিন দুর্ঘটনাবশতও ধরা দিলো না, তাইলেও সেই একই কথা কইতে হয়, তিনি যথেষ্ট নেট ব্রাউজও করেন না। তো, সেই আপা আমারে বহুকাল আগেই ব্লক দিয়া রাখছেন। সম্ভবত আমার অশ্লীল কথাবার্তা তার সতী হৃদয়ে নিয়ত আঘাত হানতো। তার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাইতো। সম্ভবত এই সতীত্বই তার জীবনের একমাত্র সম্পদ। আমার যেহেতু এই সম্পদ নিয়া মাথাধরা নাই, তাই আমি দিলখুশ চিত্তে কইতে পারি, পর্নো আমি দেখেছি। চটিও পড়েছি। অন্তত জিনিসটা কী, এই প্রশ্ন আমার মাথায় আসছে বলেই আমি দেখেছি ও পড়েছি।

বাংলার আপামর নারী জাতির জীবনে সতীত্ব যতোখানি মোহ, আমার কাছে সতীত্ব ততোটাই ঘেন্নার ও পরিত্যাজ্য। এই সতীত্বের ভাব লয়া বাংলার আপামর সতী আপারা কুতু কুতু ছোনাবাবু হয়া বরের বুকে মুখ লুকায়া নুকুপুষু করে। এই সতীত্ব দেখায়া অন্যের ঘাড়ে বইসা খায়। শক্ত ও ঝামেলার কামগুলা পুরুষরে দিয়া করায়। এরপর একদিন যখন বোরিং বোরিং লাগে, তখন মাথায় বান্ধাকপি বাইধা বাইরে ডেটিংয়ে যায়। বান্ধাকপির নিচে তাদের সতীত্ব সহিসালামতে থাকে। বাসায় আইসা আবার সতীত্ব দিয়া সব আদায় কইরা নেওয়া যায়। যে নারীর যৌনতার জ্ঞান নাই, আগ্রহ নাই, সেই নারী হয় অস্বাভাবিক অথবা তিনি সতী। আর সতী মাত্রই ভ-, এইটা যেদিন মাথায় ঢুকবে সেইদিন বাংলার আপামর আপ্পি সমাজের চক্ষু খুইলা মগজে আলো প্রবেশ করবে । ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়