নিউজ ডেস্ক : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বলতলা গ্রামে দুলালী খাতুন (৪৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুলালীর স্বামী মো. বশিরুজ্জামান রাজুকে এলাকাবাসী কাঁঠালিয়া থানায় সোপর্দ করলেও পুলিশ বুধবার রাত পর্যন্ত তাকে আদালতে সোপর্দ করেনি। সূত্র: জাগো নিউজ২৪
বুধবার পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় ওই নারীর মরদেহ তার বাবার বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলার চড়াইল গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
নিহতের ছোটভাই মো. শহিদুল ইসলাম জানান, তার বোন দুলালী চট্টগ্রাম কোরিয়ান ইপিজেডের একটি গার্মেন্টসে টিম লিডার পদে চাকরি করতেন। ১৪-১৫ বছর আগে কাঁঠালিয়া উপজেলার বলতলা গ্রামের আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে বশিরুজ্জামান রাজুর সঙ্গে দুলালীর বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী দু’জনই চট্টগ্রামে থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই।
মাস তিনেক আগে দুলালী অবসরে গেলে কোম্পানি থেকে ৩০ লাখ টাকা পান। বশিরুল্লাহ ওই টাকা নিজের আয়ত্বে নেয়ার জন্য নানা কৌশল শুরু করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। গত ২৮ জানুয়ারি সোমবার মধ্যরাতে ঝগড়ার এক পর্যায় দুলালীকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বশিরুল্লাহ।
হত্যার পর বশিরুল্লাহ নিজেই তার স্ত্রী দুলালীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে প্রচার করে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া হাসপাতালে রেখে সটকে পড়েন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা দুলালীকে মৃত ষোষণা করে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বলতলা গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বশিরুল্লাহকে আটক কাঁঠালিয়া থানায় সোপর্দ করে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বশিরুল্লাহকে থানা হাজতে রাখলেও আদালতে পাঠায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, আটক বশিরুল্লাহ থানা হেফাজতে আছে। তার দাবি স্ত্রী দুলালীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দুলালীর পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ মরদেহের শরীরে কোনো জখমের চিহ্ন নেই। দুলালীর ভাইকে আসতে বলেছি। তাদের মধ্যে যদি আপোষ মীমাংসা না হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আমরাও তদন্ত করছি দেখি কী করা যায়।