১০৯ রানের দারুণ একটা ওপেনিং জুটিকে তখন মনে হচ্ছিল অনেক দূরের এক অতীত। ৯ রানের এদিক ওদিকে ৬ উইকেট চলে গেলে এছাড়া আর কী মনে হতে পারে? তবে বাংলাদেশ এরপরও ম্যাচটা জিতেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
দারুণ ওপেনিং জুটির বিদায়ের পর হুট করে পথ হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক জাকের আলীও এই ড্রেসিংরুমগামী ৬ ব্যাটারের একজন ছিলেন। তবে ছয় নম্বর উইকেট গিয়ে যখন টেল এন্ডারদের সামনে নিয়ে এলো, তখন কী মনে হচ্ছিল? সে প্রশ্নটা ধেয়ে গিয়েছিল অধিনায়ক জাকেরের কাছে।
তবে জাকের এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বেশ রস মিশিয়েই। বললেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে আরাম করে বসেছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। আমি ছেলেদের চেষ্টায় সন্তুষ্ট।’
এক অঙ্কের রানে ইনিংসের অর্ধেক হাওয়া হয়ে যাওয়াটা যে মোটেও স্বস্তি দিচ্ছে না তাকে, সেটা জানান দিলেন পরের একটা প্রশ্নের জবাবে। জানালেন, উন্নতির জায়গা অনেক আছে বৈকি! তিনি বললেন, ‘আমরা (রান তাড়ার) শুরুটা ভালো করেছিলাম। এরপর ধস নামাটা দুশ্চিন্তার। তবে ক্রিকেট একটা মজার খেলা। তারাও আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জেতা-হারাটা খেলাটারই অংশ। বোলিং আর ব্যাটিং—দুই দিকেই কিছু জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন আছে।’
উন্নতির জায়গাটা স্রেফ ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও আছে, মনে করিয়ে দিলেন জাকের। আফগানদের ৪০ রান তুলতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরও ১৫১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। এমন পরিস্থিতি সবশেষ এশিয়া কাপে আফগানিস্তান ম্যাচে হয়েছে, এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও অল্প রানে বেশ কিছু উইকেট তুলে নিয়ে শেষমেশ দুই অঙ্কে শেষ করে দেওয়া যায়নি তাদের।
জাকের তাই এই ক্ষেত্রেও উন্নতির প্রয়োজন বলে মনে করলেন, ‘বোলাররা এশিয়া কাপে ভালো করেছে, সব সময়ই ভালো করে। কিন্তু আমরা আজ শেষ দিকে কিছু বেশি রান দিয়েছি। এ জন্যই বলছি যে উন্নতির জায়গা আছে।’
তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম ম্যাচ জেতা মানেই সিরিজ জয়ের পথে একটা বড় ধাপ এগিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশও প্রথম ম্যাচে জিতে তাই করেছে। এবার দলের লক্ষ্য সিরিজ জেতায়। জাকের বলেন, ‘আজকে আমরা জিতেছি। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। কাল (আজ) সিরিজ জয়ের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা।’ সূত্র: যুগান্তর