মনিরুল ইসলাম : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামী যে ‘আঙুল বাকা করে ঘি খাওয়ার’ রাজনীতি করে, তা জনগণ ১৯৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে।” স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জনগণ আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাক সেনা ও তাদের রাজাকার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশ স্বাধীন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী তালিকা ও নির্বাচন প্রস্তুতি দেখে তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে দিতে গণভোটসহ বিভিন্ন ‘নন ইস্যুকে ইস্যু’ বানানোর অপচেষ্টায় নেমেছে। প্রিন্স বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি মূলত নির্বাচন বানচালের প্রজেক্ট, যা আধিপত্যবাদের ‘সাপ্লাই করা প্রজেক্ট’। আধিপত্যবাদ আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করতে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “গণভোট এবং সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে হবে—এর ব্যতিক্রম বিএনপি ও জনগণ মেনে নেবে না।”
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রিন্স বলেন, “এবারের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জনসমর্থন ও আন্দোলনে ভূমিকার ভিত্তিতে। সবাই ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন।”
তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ঘরে ঘরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিন, ধানের শীষে ভোট চান। বিএনপি বিজয়ী হয়ে জনগণের কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবে এবং মুক্তিযুদ্ধ, সিপাহী জনতার বিপ্লব ও ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ রাব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, মাহবুবুল আলম বাবুলসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল ধোবাউড়া থানার সড়ক, ব্রিজ, বাজার, উপজেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে গিয়ে শেষ হয়। নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতে এই মিছিলটি ধানের শীষের পক্ষে স্লোগানে মুখরিত হয়ে নির্বাচনী মিছিলে পরিণত হয়।