জেরিন আহমেদ: [২] দাবি জানিয়েছে আটটি ট্রেড ইউনিয়নের নতুন গঠিত শ্রমিক জোট জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।
[৩] মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সূত্র: বাংলাট্রিবিউন, ঢাকা পেস্ট
[৪] সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করে পুঁজিপতি শ্রেণি দেশে নির্মম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। কিছু পুঁজিপতি গোষ্ঠী যত সংহত হচ্ছে ফ্যাসিবাদ তত দৃঢ় হচ্ছে।
[৫] তিনি বলেন, শ্রমিকের বুক চাপা কান্না আর অসহায় দীর্ঘশ্বাসে আজ বাতাস ভারী। দুনিয়ার সর্বত্র শ্রমিকের ওপর চলছে জুলুম-নির্যাতন, চলছে ব্যাপক শ্রমিক ছাটাই। সর্বোচ্চ মুনাফা লুটেরারদের বুলডোজারের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে শ্রমিকের জীবন। আর যাবতীয় শ্রম আইন দুপায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে মালিকরা। ন্যূনতম মজুরির কোনো নিম্নসীমা নেই। নেই শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি পাওয়ার রক্ষাকবচের আইন। ফলে বেকার শ্রমিকের পাল্লা যত বাড়ে, ততই কমে মজুরির হার।
[৬] জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, পাট ও চিনিকল, সুতাসহ বন্ধ সকল কল-কারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী শ্রম আইন ও বিধিমালা বাতিল, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, শ্রমিকের জন্য সপ্তাহে পূর্ণ-রেশনিং চালু, শ্রমিকদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণ, কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিতকরণ, ইপিজেডসহ সর্বত্র অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদান, ধর্মঘট করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩ বাতিল, লে-অফ, লক-আউট, ছাঁটাই-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা-গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করা, পুনর্বাসন ছাড়া হুকার উচ্ছেদ বন্ধ করা, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গার্মেন্টস্ শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা করা। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না