শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:০৬ সকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : আরমান হোসেন

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট  ইনডেক্সে ৮ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

সালেহ্ বিপ্লব: ২০২০ সালে জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১৯তম। এ বছর প্রকাশিত ইনডেক্সে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ৮ ধাপ এগিয়ে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থান অর্জন করেছে। এর পাশাপাশি ই-পার্টিসিপেশন সূচকে ২০ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ ৭৫তম অবস্থানে রয়েছে।

ই-গভর্নমেন্ট ও ই-পার্টিসিপেশন নিয়ে জাতিসংঘের এটি দ্বাদশ জরিপ। জরিপের ফলাফল ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রকাশ করা হয়।

ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের স্কোর ০.৫৬৩০।  আর ই-পার্টিসিপেশন বা ইপিআইতে স্কোর ০.৫২২৭। এই বছরের সূচকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ইজিডিআই র‌্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।

ই-সেবা, আইন ও নীতি কাঠামো, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং হিউম্যান ক্যাপিটালকে এই জরিপের মূল উপাদান ধরা হয়। জরিপে সব সদস্য রাষ্ট্রের ই-গভর্নমেন্ট বিষয়ক প্রকাশনা এবং বিভিন্ন অনলাইন সেবার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। 

অনলাইন সার্ভিস ইনডেক্সে (ওএসআই) বাংলাদেশের স্কোর ০.৬৫২১। টেলিকমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনডেক্সে (টিআইআই) ০.৪৪৬৯ এবং হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্সে (এইচসিআই) ০.৫৯।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ই-পার্টিসিপেশন টুলসের মাধ্যমে একদম তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগ ও কাজ করা হয়।

জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশ শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান অর্জন করেছে। পরপর দুটি জরিপে উচ্চ ইজিডিআই গ্রুপে রয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি সেবার দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে ই-গভর্নেন্স চালু করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নতি করেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবার (এমএফএস) মাধ্যমে সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে ১০ কোটির বেশি মানুষের দোরগোড়ায় সব সেবা পৌঁছে দিতে পেরেছে। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের এটুআই, ইউএনডিপি, গেটস ফাউন্ডেশন এবং কনসালটেটিভ গ্রুপের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। 

২০০১ সাল থেকে শুরু হওয়া জাতিসংঘের ই- গভর্নমেন্ট সার্ভে রিপোর্ট প্রতি দু’বছর পর পর প্রকাশ করা হয়।  ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (ইউএনডিইএসএ) এ কাজটি করে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়