গরমের সময়ে ঘাম বেশি হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম শুধু গরমের কারণে নয়। ভারতের অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. বিকাশ মজুমদার জানাচ্ছেন, বেশ কিছু মারাত্মক রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম দেখা দিতে পারে। তাই উপেক্ষা করলে আপনি বা পরিবারের কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের মুখে পড়তে পারেন।
হৃদরোগ: হার্টের কোনো সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে বুকে ধড়ফড়, ব্যথা, হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া এবং শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে। হার্টের ব্লক বা অনিয়মিত ধমনী গতি থাকলে ঘাম বাড়তে পারে।
ডায়াবেটিস: হঠাৎ ব্লাড সুগার কমলে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে প্রচুর ঘাম হতে পারে।
থাইরয়েড: হাইপারথাইরয়েডে থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ হয়, ফলে রোগীর খিদে বেড়ে যায়, ওজন কমে এবং ঘামের পরিমাণও বেড়ে যায়।
ব্রেন স্ট্রোক: স্ট্রোকের পূর্বে মাথার যন্ত্রণা, অস্থিরতা বা প্যারালাইসিসের মতো উপসর্গের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
নিউরোলজিক্যাল সমস্যা: মাথায় টিউমার, খিচুঁনি বা অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবেও অতিরিক্ত ঘাম দেখা দিতে পারে।
টেনশন ও ভয়: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ভয় বা টেনশন হরমোনের স্রাব বাড়িয়ে অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় করে, ফলে ঘাম বাড়ে।
রক্তে ইনফেকশন: রক্তে ইনফেকশনের কারণে শরীর উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে, ব্লাডপ্রেশার কমে যায় এবং ঘাম প্রচণ্ড মাত্রায় বের হতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জীবননাশক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত ঘামের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করে সময়মতো চিকিৎসা নিলে গুরুতর শারীরিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।