শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড হবে না: দিল্লিতে ঢাকার রাষ্ট্রদূত ◈ আবারও ভাঙলো জাতীয় পার্টি ◈ লাখ ফুটবলারের পক্ষে ফিফার বিরুদ্ধে মামলা কর‌তে যা‌চ্ছে 'জা‌স্টিস ফর প্লেয়ার্স' ◈ নামজারি প্রক্রিয়ায় দেরি সহ্য নয়, সময় বেধে দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কড়া বার্তা ◈ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের সময় ড. ইউনূসের পাশে থাকা কে এই তরুণী! ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে : সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ জুলাই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের অনেকে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ◈ সাংবাদিকদের দলীয় কর্মী নয়, মানুষের কণ্ঠস্বর হতে হবে : আমীর খসরু মাহমুদ  ◈ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফরিদপুরে মধুমতী তীর রক্ষা বাঁধে ধস ◈ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে: কাপাসিয়ায় আনন্দ মিছিলেই যুবদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ০১:২৪ রাত
আপডেট : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোনো টেস্ট ছাড়া ঘরোয়া উপায়ে কিডনি সুস্থ কিনা বুঝবেন যেভাবে

কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন, বর্জ্য অপসারণ, তরল ভারসাম্য ও খনিজ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ অনেক সময় সহজে বোঝা যায় না। আপনি কি জানেন, বিশেষ কোনো মেডিকেল টেস্ট ছাড়াই ঘরে বসেই কিডনির কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব? সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনি জানতে পারেন, আপনার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না।

মূত্রের পরিমাণে নজর দিন: বিশেষজ্ঞরা জানান, দিনে ১০ ঘণ্টার মধ্যে আপনার মূত্রের পরিমাণ যদি আপনার শরীরের ওজনের প্রতি কেজিতে ০.৫ থেকে ১ মিলিলিটার হয়, তবে তা স্বাভাবিক কিডনি কার্যক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ওজন ৬০ কেজি হয়, তবে দিনে ৩০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার মূত্র নির্গত হওয়া স্বাভাবিক।

ঘরে বসেই  কীভাবে পরীক্ষা করবেন?: মূত্রের পরিমাণ মনিটর করতে কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই, শুধু একটি পরিষ্কার মাপার পাত্র আর একটু সময় দরকার। নিচে সহজ ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. দিনের মধ্যে এমন একটি ১০ ঘণ্টার সময় বেছে নিন যখন আপনি বাধা ছাড়া মূত্র পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবেন।

২. একটি পরিষ্কার, চিহ্নিত পাত্র ব্যবহার করুন; এক লিটার ক্ষমতার বোতল ভালো কাজ করবে। দিনের মধ্যে আপনার মূত্র সেখানে সংগ্রহ করুন এবং পরিমাপ করুন।

৩. মোট পরিমাণ হিসেব করুন এবং আপনার প্রত্যাশিত পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করুন। যেমন, ৬০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির জন্য ১০ ঘণ্টায় প্রায় ৬০০ মিলিলিটার মূত্র স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর পরিমাণ বলে ধরা হয়।

৪. মাসে এক বা দুইবার এই পরীক্ষা করুন, বিশেষ করে যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে অথবা আপনি বারবার ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করেন। কারণ এগুলো কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই সহজ স্ব-পরীক্ষাটি আপনাকে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো আগেভাগে জানতে সাহায্য করবে—রক্ত পরীক্ষায় তা ধরা পড়ার আগেই।

কম মূত্র নির্গমনের অর্থ কী?
যদি নিয়মিতভাবে আপনার মূত্র নির্গমন প্রত্যাশিত মাত্রার নিচে থাকে, তবে এটি ইঙ্গিত দিতে পারে যে কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য ছেঁকে ফেলছে না। কম মূত্র নির্গমন হতে পারে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন), কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, কিংবা কিডনির কার্যকারিতার প্রাথমিক সমস্যার লক্ষণ।

ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, কম মূত্র উৎপাদন হল অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি বা হঠাৎ কিডনি বিকলের প্রধান লক্ষণগুলোর একটি এবং যদি এটি স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।

দুর্বল কিডনি কার্যকারিতার সঙ্গে যেসব সাধারণ উপসর্গ থাকতে পারে:

১. পা, গোড়ালি বা মুখে ফোলা
২. অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা
৩. ফেনাযুক্ত বা গাঢ় রঙের মূত্র
৪. বমিভাব বা মনোযোগে ঘাটতি
৫. এটি কোনো চিকিৎসা পরীক্ষা নয়

এই পদ্ধতি শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক নির্দেশিকা। কোনো কিডনি সমস্যা সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন।এই সহজ পদ্ধতিটি আপনাকে আপনার কিডনি সুস্থতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে পারে। যদি আপনি কিডনি সম্পর্কিত আরও তথ্য বা সুস্থতা বজায় রাখার উপায় জানতে চান, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়