গেল শনিবার খেলার মাঠে ছিলেন না লিওনেল মেসি। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ঝুলছিল তার মাথার ওপর। তবে সে ম্যাচে গ্যালারিতে বসেই আলোচনায় এসেছিলেন মেসি। তার হাতে ছিল এক আশ্চর্য ঘড়ি, যার দাম প্রায় সাত লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি।
ইন্টার মায়ামি ও সিনসিনাতির মধ্যকার গোলশূন্য ম্যাচে খেলেননি মেসি। এমএলএস অল-স্টার ম্যাচে না খেলার জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ছিল তার ওপর। তাই সেদিন মাঠের গ্যালারিতে ছেলের সঙ্গে বসেই খেলা উপভোগ করছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
তবে আলোচনার মূল কারণ ছিল তার হাতে থাকা উজ্জ্বল গোলাপি রঙের ‘বার্বি’ রোলেক্স ডেটোনা ঘড়ি। এই ঘড়িটি তৈরি হয়েছে গোলাপি স্যাফায়ার ডায়মন্ড আর ১৮ ক্যারেট হলুদ সোনার সমন্বয়ে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রোলেক্স এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি ‘বার্বি’ ডেটোনা বানিয়েছে। এই ঘড়ি বাজারে কেনা যায় না, কোম্পানি সরাসরি কিছু ‘বিশেষ’ ক্রেতাকে এটি কেনার সুযোগ দেয়।
‘দ্য ক্রাউন’ নামের অভিজাত ক্রেতাদের তালিকায় জায়গা পেতেই হয়তো ফোন পেয়েছেন মেসি। জানা গেছে, এই ঘড়ির জন্য সেলিব্রিটিরা গড়ে ৩ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত খরচ করেছেন। তবে বাজারে যদি এটি বিক্রির জন্য আসে, দাম দাঁড়াতে পারে ৭ লাখ পাউন্ড বা তার চেয়েও বেশি।
এই ‘বার্বি’ ঘড়ি এতটাই বিরল যে, মেসি ছাড়া কেবল হলিউড অভিনেতা মার্ক ওয়ালবার্গের হাতে এটি দেখা গেছে।
মেসির সঙ্গে ওই ম্যাচে ছিলেন তার বড় ছেলে থিয়াগো। সাদা শার্ট ও হালকা রঙের শর্টস পরে আসেন তিনি। পরে মেসির পরিবারের সবাই গিয়েছিলেন একটি কনসার্টে।
ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে খেলা দেখার পর তারা যান কোল্ডপ্লের কনসার্টে। সেখানে স্ত্রী আন্তোনেল্লা এবং তিন ছেলেকে নিয়ে ছিলেন মেসি। অনুষ্ঠানে ‘কিস ক্যাম’-এ ধরা পড়েন মেসি-আন্তোনেল্লা। তবে তারা চুমু না খেয়ে হেসে এড়িয়ে যান, যা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়েছে মজা ও আলোচনার ঝড়।
এভাবেই মাঠের বাইরেও নিজের স্টাইল ও উপস্থিতিতেই আবারও শিরোনামে এলেন লিওনেল মেসি।