জাতীয় পার্টিতে (জাপা) আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। দলটির একটি অংশ আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আজ মঙ্গলবার নগরীর গুলশানে জাপার এক নেতার বাসভবনে অনুষ্ঠিত দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। আনিসুল জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ছিলেন।
আনিসুলের নেতৃত্বাধীন নতুন এই অংশটির ভাষ্য, সম্প্রতি আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়া, সর্ব সম্মতিক্রমে জাপার এই অংশটি—কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও শহীদুর রহমান টেপাসহ আরও কয়েকজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, যাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের কোনো নোটিশ ছাড়াই বহিষ্কার করেছিলেন।
তাদের একই পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আনিসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম সভায় কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভাটি ৬ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ঢাকার একটি আদালত জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের ওপর কোনো ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি মুজিবুল হক চুন্নু এবং আরও নয়জন উচ্চপদস্থ জাপা নেতার এ সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলার শুনানি নিয়ে ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আদালত সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ও রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব চুন্নু এবং আরও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে তাদের পদে পুনর্বহাল করেছেন।
গত ২৭ জুলাই চুন্নু এবং আরও নয়জন জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এজাহারে বাদীরা উল্লেখ করেছেন, জিএম কাদের মহাসচিব পদ থেকে চুন্নুকে সরিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এছাড়া, তিনি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং আরও আটজনকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন, যা ছিল বেআইনি এবং দলের বিধি লঙ্ঘন। তাই এই অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা উচিত।
১৯৮৬ সালে এইচ এম এরশাদ জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ দিনের বিভেদের ইতিহাস রয়েছে দলটিতে। ইতোমধ্যেই কমপক্ষে পাঁচবার বিভক্ত হয়েছে জাতীয় পার্টি। উৎস: ডেইলি স্টার।