অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছর অন্তত ৪ লাখ ১ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে কানাডা। আগামী বছর এ সংখ্যা আরো বাড়াতে চায় দেশটির সরকার। এ উদ্যোগের কারণে দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের স্থায়ী হওয়ার সুযোগ বাড়ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, ২০২২ সালে ৪ লাখ ১১ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেন দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেজার। তিনি বলেন, গত বছর আমরা একটি বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম। আমরা আজ তা অর্জন করে ফেলেছি।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়াদের বেশির ভাগই আগে থেকে দেশটিতে বসবাস করে আসছে। অর্থনৈতিক চাকা সচল ও বয়স্ক জনসংখ্যার ওপর চাপ কমাতে অভিবাসীদের ওপর নির্ভর করে উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত দেশটি।
গত বছর কানাডায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ কমে যায়। দেশটির ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২০ সালে মাত্র ১ লাখ ৮৫ হাজার অভিবাসী দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়েছিল। কভিড-১৯ মহামারীতে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সংখ্যা কমে যায়।
গত শুক্রবার কয়েকটি নতুন তথ্য প্রকাশ করে কানাডা। এতে দেখা যায়, ছয় মাস ধরে দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। কভিড-১৯ মহামারীর আগে দেশটিতে অর্থনীতি যেমন ছিল, বর্তমানে তার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
৩ কোটি ৮ লাখ নাগরিকের দেশ কানাডায় ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন জাস্টিন ট্রুডো। ক্ষমতাভার নেয়ার পর থেকেই তিনি নিজ দেশে অভিবাসন সুবিধা বাড়িয়েছেন। দেশটির অভিবাসন নীতি অনুসারে প্রতি বছর দেশটির মোট নাগরিকের অনুপাতে ১ শতাংশ মানুষকে অভিবাসন সুবিধা দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :