কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] শুক্রবার (২১মে) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বলেই তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।
[৩] যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি আদালতে গড়িয়েছে, তাই এ বিষয়ে এখন মন্তব্য করাটা সঠিক ও শোভনীয় নয়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি সঠিক বিচার পাবেন।
[৪] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিনা কারণ ও অপরাধে কেউ শাস্তি পাক, সেটা আমরা সমর্থন করিনা।
[৫] এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং সরকার কোনো কিছুই লুকাতে চায় না।
[৬] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গণমাধ্যম বান্ধব। আমাদের কিছুই লুকানোর নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি জানি, এই ঘটনার কারণে আমাদের অনেকের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। আমরা আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।’
[৭] গণমাধ্যমের কারণে বালিশকাণ্ড, শাহেদ করিমসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় উঠে আসার ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই সরকার সেসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা (গণমাধ্যম) সরকারের কাজে সাহায্য করেছেন। আপনারা সরকারের অংশ। আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’ ইউএনবি
[৮] গত সোমবার সচিবালয় থেকে সরকারি গোপন নথি চুরি এবং অবৈধভাবে নথির ছবি তোলার অভিযোগে প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় ৩ ও ৫ ধারায় এবং পেনাল কোডের ৩৭৯ এবং ৪১১ ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
[৯] মঙ্গলবার অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
[১০] অভিযোগ আছে, সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে সব অভিযোগকে ‘নিপীড়নমূলক’ উল্লেখ করে মামলা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।