নুর উদ্দিন মুরাদ: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় ধাপের লাকডাউনে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার স্থানান্তর নিয়ে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও বসুরহাট পৌর মেয়র’র পরষ্পর বিরোধী সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা পৌর মেয়রের সিদ্ধান্তে অনড়। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।
উপজেলা করোনা ভাইরাস কোভিড়-১৯ এর সংক্রমণ ও প্রতিরোধ সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন রয়েছে। পদাধিকার হিসেবে উপজেলা নির্বাহী সভাপতি, সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র সদস্য, অপরদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন উক্ত কমিটির উপদেষ্ট হিসেবে কাজ করবে।
কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মীর’র নেতৃত্বে ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি সহ বসুরহাট কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারে সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ১টি ঘোষনা জারি করে। মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার ব্যবসায়ীদেরকে গত বৎসরের ন্যায় বসুরহাট এএইচসি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাঁচাবাজার ও গরু বাজারে মাছ বাজার বসানোর নির্দেশ দেন।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীরা মানতে নারাজ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা। তারা তাৎক্ষনিক দলবেঁধে পৌরমেয়রকে অভিযোগ করলে, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার প্রতিদিনের ন্যায় স্ব স্ব অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত দেন। এতে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পরষ্পর বিরোধী সিদ্ধান্তে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। উভয়ের এমন সিদ্ধান্তে আগামীকাল যেকোন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গণমাধ্যমকে জানান, গত বৎসর কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার অন্যত্র স্থানান্তর করায় ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয়েছে। অপরদিকে ক্রেতারাও চরম আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছিল। সেদিক বিবেচনা করে তাদের নির্দিষ্ট কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকি।
আপনার মতামত লিখুন :