সিরাজুম মুনির: Emotional Attachment তথা মানসিক সংযুক্তি, খুব সংবেদনশীল একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সংগঠিত হয়। হাজারো কিংবা লাখো মানুষের ভীড়ে, মন ও মস্তিষ্ক নানা ধাপ অতিক্রম করে একজন মানুষকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করে। সেটা যে কোনো সম্পর্কের পরিচয়ে হতে পারে। তবে ব্যাপারটি হুটহাট করে আকস্মিক কিংবা জোরপূর্বক হয় না। বর্তমান যুগে সবকিছু কেমন অস্থিরতার বেড়াজালে আটকে পড়ছে। সেরকম দৃষ্টিকোণ থেকেই বেশিরভাগ মানুষ এ সময়টায় তাড়াহুড়োর মধ্যে দিয়ে এই মানসিক সংযুক্তির পরিসরে প্রবেশ করতে চায় বা অপরপক্ষের কাছ থেকে প্রত্যাশাও করে সেরকমটাই। যা কিনা সম্পূর্ণরূপে একজন মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কারণ যে কারো মানুষের মন কিসে আকৃষ্ট হবে ও কিসে হবে না, সেটির উপর কিন্তু কারোরই তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। এই অস্থিরতার দরুণ ও জোরপূর্বক সম্পর্ক স্থাপনের প্ররোচনায় অনেক সম্পর্ক বুঝে উঠার আগেই অনেকটা কাঁচাপাকা অবস্থায় গঠিত হয় ও পরবর্তী সময়ে ভেঙ্গেও যায় খুব দ্রুত। সংঘটিত হয় নানারকম অপরাধ, জীবন মুহুর্তের মধ্যে হয় এলোমেলো।
তাছাড়া অনেক পুরুষ বর্তমানে চলতে ফিরতে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধুমাত্র নারীর সৌন্দর্য দেখেই একপ্রকার কুরুচিপূর্ণ মানসিক সংযুক্তি স্থাপন করে ও সেরকমটাই বিপরীত দিক থেকে প্রত্যাশা করে। চলে জোরপূর্বক প্রচেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে আজেবাজে মন্তব্য কিংবা বিনা অনুমতিতে রাত বিরাতে ফোন কলসহ নানারকম অগ্রহণযোগ্য আচরণ। এসবকিছুই আসলে প্রতি মুহুর্তে জানান দেয় যে আমাদের বিবেক কতোটা শূন্য। আমাদের মস্তিষ্ক কতোটা ভুল শিক্ষা ও অনুভূতির সংমিশ্রণে গুলিয়ে আছে। মুহুর্তের কিছু উত্তেজনা, আমাদের মনুষ্যত্ব ছাপিয়ে পশুত্বকে এতো তীব্র মাত্রায় জাগিয়ে তোলে যে সেই প্ররোচনায় একসময় সবকিছু নষ্ট করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা হয় না কারও। নিয়ন্ত্রণ দরকার, প্রতি মুহুর্তে, প্রতিটি পদক্ষেপে। ‘একটি দুর্ঘটনা, সারা জীবনের কান্না’, কথাটি শুধু মহাসড়কেই নয়, জীবনের চলার পথেও প্রযোজ্য। ফেসবুক থেকে, মামুন