শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য অথবা কিছু খাবার খেলে মানুষের মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মাথাব্যথা থাকতে পারে, আবার কিছুদিনের মধ্যেই তা ফিরে আসে। এ সময় আলো, শব্দ সবকিছুই বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কারণ বা অভ্যাস এই ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলে।
সেগুলো এড়িয়ে চললে মাইগ্রেন থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকা সম্ভব। চলুন জেনে নিই।
মানসিক চাপ
দীর্ঘদিনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের একটি বড় কারণ। দুশ্চিন্তা কমিয়ে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
অনিদ্রা
যথেষ্ট ঘুম না হলে মাইগ্রেন বাড়তে পারে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
খাবারে অনিয়ম
ঠিক সময়ে না খেলে বা খাবার বাদ দিলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়ম করে সময়মতো খাওয়া জরুরি।
ডিহাইড্রেশন
কম পানি পান করলে শরীরে মিনারেলসের অভাব হয়, যা মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করুন।
উজ্জ্বল আলো
উজ্জ্বল আলো মাইগ্রেন বাড়ায়। ব্যথা শুরু হলে অন্ধকার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিন।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন
কম পরিমাণে ক্যাফেইন উপকারী হলেও অতিরিক্ত কফি বা চা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
যেসব বিষয় সীমিত রাখবেন-
উচ্চ শব্দ
জোরে শব্দ বা গান শুনলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। সম্ভব হলে শান্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
পরামর্শ
মাইগ্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এসব কারণ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর ঘুম, পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও মানসিক শান্তিই হতে পারে আপনার মাথাব্যথা কমানোর চাবিকাঠি।