জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে জুলাই শহীদ পরিবারগুলোকে রাস্তায় নামতে হয়েছে, এটা লজ্জার। ইন্টেরিম সরকারের ব্যর্থতা জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মিরপুর ১০-এর সেনপাড়া পর্বতা ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আগে তারা (জুলাই যোদ্ধারা) জালিমের হাতে মার খেয়েছে, আজ যদি আবার ইন্টেরিম সরকারের হাতে মার খায়—এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখব?’
সরকারের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘দয়া করে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি আপনারা সুবিচার করুন। আমরা আর তাদেরকে রাস্তায় দেখতে চাই না। আরও অনেকে দাবিদাওয়া মেনে নিয়েছেন। অনেকের দাবিদাওয়া আর জুলাই যোদ্ধাদের দাবিদাওয়া এক না। এটাকে ভিন্ন মর্যাদার চোখে অবশ্যই দেখতে হবে।’
জামায়াত দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতিত হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনতা সাক্ষী, আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদাবাজ দল হিসেবে কুপরিচিতি লাভ করেনি। বরং নিরীহ জনগণের পাশে, ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে, ফুটপাতের আমার ক্ষুদ্র হকার ব্যবসায়ী ভাইদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বহু জায়গায় আমাদের মানুষ সন্ত্রাসীদের হাতে, চাঁদাবাজদের হাতে আহত হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তো সরকারের কেউ না। আমরা সরকারকে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এই সরকার কিছুই করতে পারেনি।’
উল্লেখ্য, আজ সকাল ১০টার দিকে কয়েক শ ‘জুলাই যোদ্ধা’ সংসদ ভবনের বাউন্ডারি পেরিয়ে মূল অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসে পড়েন। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং পরে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এরপর ‘জুলাই যোদ্ধা’ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
বেলা পৌনে ২টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন। পুলিশ সদস্যরা জুলাই যোদ্ধাদের সড়কের দুপাশে, খামারবাড়ি, ফার্মগেট ও ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের দিকে সরিয়ে দেন।