ডেকান ক্রনিক্যাল: শুক্রবার ভোরে আসামের তিনসুকিয়া জেলার কাকোপাথার এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন আলফা (আই) এর সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পে গুলি চালালে তিন সেনা সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছেন এক সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য সেনাবাহিনী এবং পুলিশ এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ অজ্ঞাত সন্ত্রীসীরা একটি চলন্ত গাড়ি থেকে কাকোপাথরে সেনার ১৯ গ্রেনেডিয়ার ইউনিটের ক্যাম্পে হামলা চালায়। তিনটি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে আক্রমণ করে আলফা। কর্তব্যরত সেনারা তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা করে এবং আশেপাশের বেসামরিক বাড়িগুলোর ক্ষতি এড়াতে কার্যকরভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, সেনা সদস্যদের পাল্টা গুলি চালানোর ফলে সন্ত্রাসীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতের পরে তারা হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনতে পান। দুমদুমার দিক থেকে ট্রাকে করে আসে হামলাকারীরা। ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে অরুণাচল প্রদেশের দিকে পালিয়ে যায় তারা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা আইএসআইএস-এর সহায়তায় পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী সংগঠন আলফা ফের আসামে মাথাচাড়া দিচ্ছে। এবার সরাসরি সেনাকে আক্রমণের ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত আলফা (আই) এক বিবৃতিতে তাদের অপারেশন ভেঞ্জেন্স-এর অংশ হিসেবে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তিনজন সেনা কর্মীর সামান্য আঘাত ছাড়া আর কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি। সেনার এক মুখপাত্র জানান, পুলিশের সাথে সমন্বয় করে যৌথ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যে এলাকায় নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে, সেটি আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের আন্তঃরাজ্য সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন যে, একটি ট্রাক থেকে হামলা চালানো হয়েছে, যা পার্শ্ববর্তী রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আলফা (আই) বিবৃতিতে দাবি করেছে, এটি বিদ্রোহী সংগঠনের ‘সামরিক শাখা’ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।’ অপারেশন ভেঞ্জেন্স ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তাদের স্পষ্ট বার্তা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা যে কোনো শক্তি প্রয়োগ করেই এই সংগঠনকে তার লক্ষ্য অর্জন থেকে বিরত রাখা যাবে না।
সূত্র : মানবজমিন