শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর ◈ জাতির প্রকৃত শক্তি শুধু সম্পদের মধ্যেই নয়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন শিগগিরই: ট্রাম্প ◈ জুলাই বিপ্লবের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পাইনি — উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ ক্ষুদ্র ইন্টারনেট অপারেটরদের বাজার থেকে হটাতে ডিডস আক্রমণ চলছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ◈ হিন্দুদের কারো কারো ‘জামায়াতে যোগ দেওয়ার’ কারণ কী, তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে? ◈ বাংলা‌দেশ‌কে হা‌রি‌য়ে সি‌রি‌জে ২-১ এ এ‌গি‌য়ে গে‌লো আফগা‌নিস্তান ◈ গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে, ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ হংকং সি‌ক্সেস ক্রিকে‌টে শ্রীলঙ্কা‌কে ১৪ রা‌নে হারা‌লো বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২৫ রাত
আপডেট : ০৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ মন্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম

পঞ্চগড়ে গতকাল শনিবার রাতে একটি পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব—তাদের কলিজা কত বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।’

সারজিসের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে এর ব্যাখ্যা দেন তিনি।

আজ রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সারজিস বলেন, ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে উপমা ব্যবহার করা উচিত হয়নি।

একই সঙ্গে পঞ্চগড়ে ‘প্রতিটি প্রোগ্রামে’ বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস বলেন, ‘বিগত এক মাসে পঞ্চগড় জেলায় এনসিপি তিনটি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। প্রতিটি প্রোগ্রামে যখন আমি বক্তব্য দেওয়া শুরু করি, তার এক-দুই মিনিট পরে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রথমবার যখন হয়েছিল, কিছু বলিনি। মনে হয়েছিল এটা হতেই পারে। দ্বিতীয়বার যখন একই ঘটনা ঘটে, তখনো কিছু বলিনি। কিন্তু তাদের ইনটেনশন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। গতকাল আবার একই ঘটনা। প্রোগ্রামের আগে-পরে নয়, অন্য কারও বক্তব্যের সময় নয়। ঠিক আমি যখন কথা বলা শুরু করি, তখন আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কথা বলা শেষ হলে বিদ্যুৎ চলে আসে। সকল মিডিয়া এটার সাক্ষী।’

সারজিস বলেন, ‘তিনটি প্রোগ্রাম তিন দিন ভিন্ন সময়ে হয়েছে। তারপরও যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন আমি অবশ্যই মনে করি,এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তা এই ধরনের ছোটলোকি কিংবা অন্য দলের দালালিমূলক আচরণ করে থাকে। একজনকে ডিস্টার্ব করতে পারলে তাদের রাজনৈতিক সফলতা মনে করে।

‘প্রত্যেকবারই প্রোগ্রামের আগে তাদের প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলে রাখা হয়। প্রোগ্রামের পরেও ভদ্র ভাষায় বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও যখন একই চিত্র দেখা যায়, তখন তাদের সঙ্গে সুশীলতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন মনে করি না। তবে ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি, সেটা করা উচিত হয়নি বলে মনে করি।’

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এনসিপির পক্ষ থেকে লংমার্চে ১০ ঘণ্টা ধরে প্রায় দুই হাজার মানুষ মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পুরো পঞ্চগড় জেলার ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি। আশা করি, মিডিয়ার ফোকাস সেদিকেও থাকবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়