জেন জি বা তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভের সামনে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি। জনপ্রিয় র্যাপার এডুয়ার্ডো রুইজের মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশটির তরুণ প্রজন্ম। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী লিমায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা ৩২ বছর বয়সী ওই গায়কের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করছে। পেরুর পুলিশ প্রধান জেনারেল অস্কার অ্যারিওয়ালা বলেছেন, লুইস ম্যাগেলান নামের এক পুলিশ সদস্য রুইজের ওপর গুলি চালান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এক মাস আগে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভে রুইজ নামের এক ব্যক্তি প্রথম নিহত হন।
তিনি তরুণদের জন্য উন্নত পেনশন ও মজুরির দাবি জানান। পরবর্তীতে অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক সোচ্চার হয়ে ওঠেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে।
বুধবার হাজার হাজার মানুষ দেশজুড়ে মিছিল করেন। ওই সময় কংগ্রেসের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শত শত মানুষ। তারা সম্প্রতি দায়িত্ব নেয়া প্রেসিডেন্ট হোসে জেরির পদত্যাগ দাবি করেন। এদিকে পেরুর পার্লামেন্ট পরিদর্শনের পর জেরি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানান, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আমার দায়িত্ব এবং এর প্রতি আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্সে তিনি রুইজের মৃত্যু নিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেন। বলেন, মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা হবে।
বিশৃৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অনুপ্রবেশকারীরা অপরাধী। বলেন, তাদের ওপর আইনের পূর্ণ প্রয়োগ করা হবে। দেশটির রাজধানী থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মারিয়ান সানচেজ বলেন, রুইজের মৃত্যু চলমান রাজনৈতিক সংকটে আরও একটি স্তর যোগ করেছে।
এটি দেশটির নিরাপত্তাহীনতায় হতাশ পেরুবাসীকে আরও বিক্ষুব্ধ করেছে। বলেন, রুইজ শান্তিপূর্ণভাবে তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি বুলেট এসে তার বুকে লাগে। মিলাগ্রস নামের এক অধিকারকর্মী বলেন, আমরা এর বিচার চাই।