রবিউল আলম : রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, মধুবাজারের খাল এখন রাস্তায় পরিণত হয়েছে। খালের আয়তন ৬০ থেকে ১২০ ফুট হলেও সরকারের ভাগে ৩০ থেকে ৫০ ফুট রাস্তা পড়েছে। বাকি অংশ ভাগবাটোরা হয়ে গেছে। পুলপার বটতলা থেকে ঋষিপাড়া মধু বাজার হয়ে জিগাতলার খালের অস্তিত্বই নেই। জাফরাবাদ পর্যন্ত একটি ছোট রাস্তা পেয়েছে সরকার, বটতলা থেকে বুদ্ধিজীবী হয়ে খালের অংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বটতলা থেকে রহিম বেপারী ঘাটের খালটি কোথায়? পাওয়া যাচ্ছে না। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বট গাছের সামনে বৃহৎ পুকুর। বটতলা থেকে রায়েরবাজার হয়ে বছিলার নদী সংযোগস্থল রাস্তার অর্ধেক অর্ধেক ভাগ হয়েছে সরকার ও দখলদারদের মধ্যে! হাজারীবাগ থেকে শিকদার মেডিকেল হয়ে বুড়িগঙ্গায় সংযোগ খালের কিছু অংশ ওয়াসার অধীনে, কিছু অংশে ওয়ার্ড ইউনিট। আওয়ামী লীগের অফিস করা হয়েছে। নিমতলা ঘাটের সংযোগ খালটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অধীনে খালের জমিতে কতো বস্তি ও অবৈধ দখল আছে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। ওয়াসা ও করপোারেশনের বিরোধ মীমাংসায় নগরবাসীর ও সরকার স্বস্তিতে। যানজট ও জলজটমুক্ত হওয়া একটি সম্ভাবনা জাগ্রত হয়েছে। দুই মেয়রের আন্তরিকতাকে ঢাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন, সরকারের সহায়তার কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কতো বড় নেতা, কতো ক্ষমতা দেখার সময় নেই। ব্যক্তিগত জমি, উত্তরের মেয়রের ব্যক্তিগত টাকা দিয়েও জনগণের রাস্তা উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টাকে ইতিহাসের অংশই বলেই মনে করি। সরকারবিরোধীরা কী মনে করেন, জানতেও চাই না, বুঝতে চাই না। সরকার ও আমার দলের হিতাকাক্সক্ষী কাউন্সিলরদের সহায়তা চাই। আপনাদের দখলে যদি কোনো খালের জমি থাকে, তবে ছেড়ে দিন। আপনার এলাকায়, আপনার বাড়ির পাশে খালের জমি দখল করে যদি কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে থাকেন, তবে চিহ্নিত করুন। একা না পারলে, জানা না থাকলে এলাকাবাসী সহায়তা গ্রহণ করুন। আপনাদের স্ব স্ব রাস্তা ঘাট অবৈধ দখল ও মাদক মুক্ত করার কাজে এগিয়ে আসুন। শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের ঝামেলা মুক্ত করেই ছারবেন। দুই মেয়রের আন্তরিকতার অভাব নেই। প্রশাসনের ছাড় নেই।
বাংলাদেশকে স্বপ্নপুরি দেখতে চান, তাহলে ফুটপাতের চাঁদাবাজির কথা ভুলে যান। ভুলে যান এরশাদের কমিশনার না আপনারা। শেখ হাসিনার কাউন্সিলর মনে রাখবেন। যার এমপিরাও জেলে থাকেন। সুযোগ বারবার আসে না। মাননীয় মেয়ররা ইচ্ছে করলে, কাউন্সিলরদের দখলে থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার জন্য জনসম্মুখে লিখিত আবেদন চাইতে পারেন। মিডিয়া, সুশীলসমাজ ও রাজনৈতিক সহায়তাকে কাজে লাগাতে পারেন। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি