রবিউল আলম: ক্রসফায়ারে পুলিশের দুর্নীতি এখন সামনে। ওসি প্রদীপ-সহ অনেকেই আলোচনায় সমালোচনায়। ক্রসফায়ারকে সমালোচনার অংশ করে তুলেছেন। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরকারকে কতো কিছু ভাবতে হয়। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য খালেদা জিয়া ক্রসফায়ার আবিষ্কার করেছিলেন। জনগণের নিরাপত্তার কথা বলে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের হাতিয়ার করা হয়েছিল ক্রসফায়ারকে। আমি ক্রসফায়ারকে কখনো সমর্থন করিনি, মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী কেউ বিনা বিচারে হত্যা সমর্থন করতে পারে না। যাদের মাধ্যমে আমরা মাদক ও দুর্নীতি নির্মূল করতে চাই, তাদেরই মাদক-দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। বেনজির আহমেদের মতো অফিসার পুলিশে আছে, র্যাবের অনেক চৌকষ অফিসার আছেন। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিরাপদ রাখা সম্ভব।
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, লড়াই সংগ্রাম অর্থের বিনিমায় হয়নি। বাঙালি একবার জেগে উঠলে, থামায় কে। জাগিয়ে তোলার মানুষের অভাব আজ পরিলক্ষিত হচ্ছে জাতির জনককে হারিয়ে। আমরা বুঝতেও বোঝাতে পারছি না, অর্থ দিয়ে আমাদের সন্তানদের আগামী ভবিষ্যৎ গড়তে পারবো না। ভবিষ্যৎ গড়তে রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে। শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন বলেই সজীব ওয়াজেদ জয়কে অর্থে নয়, শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন। জাতিকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। দুর্নীতিবাজরা একটু লক্ষ্য করুন, সামাজিক অবস্থান, অবৈধ টাকায়, সন্তান-স্বজনরা কি কিছু দিতে পেরেছে আপনাকে? কি কিছু কি দিতে পারবে? মৃত্যু যদি অমর না হয়, তবে এ জীবনে মূল্য কী? অমরত্ব অর্জন যদি টাকা দিয়ে হতো, তবে টাকা দিয়ে জাতির জনকের পদপদবি তারেক রহমান কিনে নিতে পারতেন! টাকায় লন্ডন ইউরোপের জীবনযাপন করা যায়, অমর হওয়া যায় না। একথা দুর্নীতিবাজদের বুঝতে হবে।
লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি