বাশার নূরু: [২] কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এমপির সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন এবং ঘুষ গ্রহণের দায়ে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ এক আদেশ জারি করে তাকে বরখাস্ত করেন।
[৪] আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতে গত ৬ জুন রাতে আটকের পর পাপুলের দফতরের সিসিটিভি ও অন্যান্য কাগজপত্র এবং চেকবই থেকে অনৈতিক লেনদেনের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
[৫] এছাড়া তার মুঠোফোনে কুয়েতের সংসদ সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং অন্যান্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাপুলের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়। কুয়েতি এই কর্মকর্তারা অনৈতিক সব কাজে পাপুলকে সহযোগিতা করেছেন।
[৬] আরবি ভাষার দৈনিক আল কাবাসের খবরে বলা হয়, কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি এই এমপির সঙ্গে কাজের জন্য অন্তত দুটি চুক্তি নবায়ন করেছিল। তদন্তে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংশ্লিষ্টতা মেলায় একটি চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
[৭] কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহ এমপি শহীদ ইসলামের জন্য ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনে সহায়তা করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পান।