আরটি ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পুতিনের সঙ্গে তাঁর নির্ধারিত বৈঠক বিলম্বিত হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে চলা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রবেশ করেন।
তুর্কমেনিস্তানের স্থায়ী নিরপেক্ষতার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের শীর্ষ নেতারা মিলিত হয়েছেন। আজ শুক্রবার এই বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ এক অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়।
আরটি ইন্ডিয়া বলছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তিনি অন্তত দ্রুত একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সেরে নিতে পারেন।
জানা গেছে, ওই কক্ষে প্রবেশের প্রায় ১০ মিনিট পর তিনি সেখান থেকে চলে যান।
ক্যামেরায় ধরা পড়া এই মুহূর্তটি অনলাইনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। ’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘পুতিন ভিক্ষুকদের পেছনে সময় নষ্ট করতে চান না’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘ট্রাম্পও এই ভিক্ষুকদের সঙ্গে একই আচরণ করতেন।’
উল্লেখ্য, ফোরামটি তুর্কমেনিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। দেশটির স্থায়ী নিরপেক্ষতার নীতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়। এই নীতি অনুযায়ী, তুর্কমেনিস্তান কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয় না, আত্মরক্ষার বাইরে কোনো সংঘাতে অংশ নেয় না এবং নিজের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতিও দেয় না।