সৈয়দ ইমতিয়াজ রেজা : বাংলাদেশে লকডাউন শুরু থেকেই পুরোপুরি মানা হয়নি, কারণ লকডাউন ঘোষণাই হয়নি, বলা হয়েছে ছুটি। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের একটা অংশ এ নিয়ে সামাজিক সচেতনতা দেখালেও জনগোষ্ঠীর বাকি অংশের মগজে এটার বিশেষত্ব ঢুকেনি। শুরু থেকে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক চেষ্টা ছিলো মানুষকে ঘরে রাখার, কারণ তাদের মাথায় ছিলো লকডাউন, কিন্তু পাবলিকের মগজে ঢুকেছে পাবলিক হলিডে। যোগাযোগের ছাত্র হিসেবে বলি, কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে যা বলার চেষ্টা হয়েছে, পাবলিকের সঙ্গে সেই যোগাযোগটাই হয়নি।
নির্বাচিত মন্তব্য : আখতারুজ্জামান টিটন-কোথাও একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিলো শুরু থেকেই। সতর্কতার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যার জন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত মানুষদের সঙ্গে স্বজন-প্রতিবেশী অমানবিক আচরণ করছে। মৃতদের সঙ্গে এই আচরণ চরম পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। ছুটির কথা বলে বিষয়টা আরও হালকা করা হয়েছে। লকডাউনের ম্যাসেজটাই মানুষের কাছে শুরু থেকে গোলমেলে ঠেকেছে।
[২] মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন-সাধারণ মানুষের কথা বাদ দিলেও যারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা সংক্রমণ রোধে বার্তা দিতে চেয়েছেন মানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কর্মরতরাও বিষয়টি বুঝেছেন বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু তারপরও ১০ মের আগে পর্যন্ত একধরনের নিয়ন্ত্রণ ছিলো। বাজার উন্মুক্ত করার পর তা পুরোটা ভেঙে পড়েছে। আবার আজ বিভিন্ন পত্রিকায় একটি নিউজ দেখলাম, ছেলের লাশসহ নওগাঁগামী বাস থেকে মাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। আমার মনে হয় আরও ২ সপ্তাহের জন্য শতভাগ ঘরে থাকা নিশ্চিত করার সরকারি উদ্যোগ দরকার। হতে পারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ১৪৪ ধারা জারি, কারফিউ ইত্যাদি। আর এটা করা সম্ভব না হলে দেশে সংক্রমণ সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :