মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে: ২০১২ সালে নয়াদিল্লির চলন্ত একটি বাসে ২৩ বছর বয়সী প্যারামেডিক ছাত্রী জ্যোতি সিং-কে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে গতকাল শুক্রবার সকালে চার দন্ডিত আসামীকে রাজধানীর তিহার জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, যার সংবাদ দ্রুতই বিশ্ব মিডিয়ায় স্থান পায়। এই আসামীরা হচ্ছে: শরীরচর্চা প্রশিক্ষক বিনয় শর্মা, বাসের ক্লিনার অক্ষয় ঠাকুর, ফলবিক্রেতা পবন গুপ্ত ও বেকারযুবক মুকেশ সিং।
এতে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে সংঘটিত ওই ঘটনায় শুধু ভারতে নয়, বরং বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষ প্রতিবাদমুখর হন এবং ভারতীয় গণমাধ্যম ওই নির্যাতিতা নারীকে ‘নির্ভয়া’ নামে অভিহিত করে। ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের মাঝে রাম সিং ২০১৩ সালের মার্চে জেলেই আত্মহত্যা করে। অপর একজন কিশোর অপরাধী হওয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তিন বছর জেল খাটার পর ২০১৫ সালে মুক্তি পায়।
শেষটায় অবশিষ্ট চারজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অসহায়ত্বের শিকার মাতা আশা দেবী জেলের বাইরে মিডিয়াকে বলেন, ‘সাত বছর পর ন্যায়বিচার পেয়েছি, ভারতের বিচারব্যবস্থাকে প্রণাম এবং শ্রষ্টাকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন...এখন আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে।’
বিস্ময় জাগে, বাংলাদেশ কী পারবে নারী ধর্ষক ও হন্তারকের এমন শাস্তি?
আপনার মতামত লিখুন :