মহসীন কবির ও শিমুল মাহমুদ : রোববার (১৯ জানুয়ারি) দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি করে নিয়েছে। এই সিটি নির্বাচনে ও একটি দলই প্রাধান্য পাচ্ছে। এখানে একটি অযোগ্য নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তারা কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়। তাদের সেই যোগ্যতা নেই। তারা যে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সেটি আর একটি অপকৌশল বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার।এতে জনগনের রায়ে কখনো ইভিএমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না।
প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ, চৌধুরী সেলিমা রহমানসহ দলের অন্য নেতারা এতে অংশ নেন। এসময় ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বহুদলীয় গণতন্ত্র সকল দলের সমান সুযোগ আছে কিনা এপ্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসর গুলোকে সংকুচিত করে ফেলছে। স্পেইজ গুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ, অযোগ্য, তারা যে নির্বাচন পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখেন না তার প্রমাণ হলো তারা এমন একটা দিনে নির্বাচন তারিখ নির্ধারণ করেছে সেদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বড় পূজা ছিলো। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যেখানে এই পূজা গুলো হয়, ঠিক সেখানেই নির্বাচনের কেন্দ্র গুলো। ফলে সেখানে অবশ্য একটা সমস্যা তৈরি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারনে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবস্থাটি হচ্ছে একটি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা। পুরনো যে ব্যালটে ব্যবস্থা এতে মোটামুটি কিছুটা জনগণের ফলাফল আশা করা যায় যদি চুরি টা না হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছে। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে যখন আমরা তার জন্মদিন উদযাপন করছি তখন আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অন্যায় ভাবে, বেআইনিভাবে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী তাকে আটক করে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে। গ্রেফতার করেছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে। দেশকে একটা অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা এখানে শপথ নিয়েছি, যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমরা দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী তার ১৯ দফাকে বাস্তবায়িত করব।