হ্যাপি আক্তার : পাকিস্তান ইতোমধ্যেই নির্বাচন-পরবর্তী ভারতের মুখোমুখি হওয়ার বিভিন্ন বিকল্প খতিয়ে দেখেছে। উল্লেখিত এজন্ডা বাস্তবায়নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। সাওথ এশিয়া মনিটর।
দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যুর সমাধানে পর্দার আড়ালে কাজ করার জন্য এনএসএ নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
গত আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ভারতের সাথে শান্তি আলোচনা শুরু ও বিবদমান ইস্যুগুলো নিরসনের জন্য বারবার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ইমরান খান। তবে মোদি প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। ভারত গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানে জঙ্গি বিমান পাঠানোর পর দুই দেশের মধ্যে আলোচনার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
পাকিস্তান বদলা নিতে পাল্টা বিমান হামলা চালালে দুই দেশ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। তবে প্রভাবশালী দেশগুলোর চেষ্টায় দুই দেশ যুদ্ধ থেকে পিছু হটে আসে।ওই ঘটনার দুই মাস পর ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সরকার এখন ভারতের সাথে আলোচনা শুরু নিয়ে ভাবছে।
একটি বিকল্প হচ্ছে ভারতের সাথে পর্দার আড়ালে আলোচনার জন্য এনএসএ নিয়োগ করা। অতীতে যেকোনো আলোচনার ভিত্তি প্রস্তুতের জন্য দুই দেশের এনএসএরা পর্দার আড়ালে কাজ করেছেন।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের এনএসএ লে. জেনারেল (অব.) নাসির খান জানজুয়া ও ভারতের অজিত দোভাল পরিস্থিতি ইতিবাচক করেছিলেন। তারা ব্যাংককে বৈঠক করে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার পথ করে দিয়েছিলেন।