ফাতেমা আহমেদ: ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন ইমরান খান। খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যাচ পাতানোর কোনো তীর কখনোই নিজের দিকে ছুটে যেতে দেননি পাকিস্তানকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক। কিন্তু আজ পাকিস্তানে অনুষ্ঠানরত সাধারণ নির্বাচনে সম্ভবত ‘পাতানো খেলা’র অংশীদার হতে যাচ্ছেন ‘রাজনীতিক’ ইমরান। খবর দ্য ইকোনমিস্ট
পাকিস্তানের রাজনীতি আজ একদিনেই অনেকটা বদলে যেতে পারে। আজ বুধবার সেখানে হচ্ছে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। ১০ কোটি ৬০ লাখ ভোটার আজ বেছে নেবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। কে হবেন পাকিস্তানের নতুন হর্তাকর্তা? শরীফ পরিবার, ভুট্টো-জারদারি পরিবার নাকি ইমরান খান? এ প্রশ্নের এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার উত্তর মেলেনি। তবে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কিছু ভোট গতকাল বাড়িয়ে দিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।
পাকিস্তানের নেতৃত্বে নতুন পরিবর্তন আসবে কিনা সেটি জানা যাবে আজ রাতেই। তবে ইমরানের এক সময়ের খেলোয়াড়ি শিষ্য, কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিমের ধারণা, পাকিস্তানে পরিবর্তন আসা দরকার। তিন দিন আগে করা এক টুইটে তিনি ইমরানের জন্যই ভোট চেয়েছেন, ‘তোমার নেতৃত্ব গুনেই ১৯৯২ সালে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তোমার নেতৃত্বেই আমরা আবার একটি দুর্দান্ত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে উঠব। অধিনায়কের জন্য ভোট দিন। নতুন পাকিস্তান চাই।’
পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ইমরান। দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের পক্ষে তাঁকে ছোঁয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু রাজনীতিবিদ হিসেবে কি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিতে পারবেন ইমরান? ওয়াসিমের ধারণা ইমরান নির্বাচিত হলে নিজের ‘ক্রিকেটার’ সত্তাকে ছাড়িয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায় ইমরানের ক্রিকেটীয় অর্জনও তখন নাকি মানুষ ভুলে যাবে, ‘ইমরান একজন ক্রিকেটার যিনি পরবর্তীতে রাজনীতিক হয়েছেন নাকি তিনি এমন এক ব্যক্তি যার জন্ম হয়েছে এ জাতিকে সেবা করার জন্য, আমাদের মানুষকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের নিজেদের শক্তিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। মানুষ একদিন বলবে ইমরানই এক সময় অসাধারণ এক ক্রিকেটার ছিলেন। এখনই সময় পরিবর্তনের, আমাদের দেশ আমাদের ইতিহাস! অধিনায়কের জন্য ভোট চাই।’
ওয়াসিমের এমন আবেগময় টুইটেও অবশ্য বাস্তবতা লুকানো যাচ্ছে না। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ও বিদেশি পরিদর্শকেরা বারবারই বলছেন সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রবলভাবেই থাকছে এ নির্বাচনে। বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে এ কথা বলাই যায় যে ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এ নির্বাচনে আসনসংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় দল হতে যাচ্ছে। দেশের বেশির ভাগ গণমাধ্যম বলছে, তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে অথবা জোর করা হচ্ছে অন্যান্য প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে ইমরানের পিটিআইয়ের প্রার্থীদের পক্ষে বেশি প্রচার দিতে। দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন ইমরান। সূত্র: প্রথম আলো