ডেস্ক রিপোর্ট : যশোর-মাগুরা মহাসড়কের উপশহর এলাকার একটি গাড়ির গ্যারেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। ওই গ্যারেজে থাকা অন্তত ৭টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পুড়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, ভস্মীভূত কাভার্ডভ্যানের নিচ থেকে দুটি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে নিহত দুইজন ওই গ্যারেজের শ্রমিক।
যশোর জেলারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় আহত যশোর সদর উপজেলা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে কাভার্ডভ্যানের সুপারভাইজার কবির হোসেন, একই উপজেলার রাহেলাপুরের আলম হোসেনের ছেলে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি আশরাফুর রহমানসহ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, কবির হোসেনের অবস্থা খুব খারাপ। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বেনাপোল থেকে আসা ক্যামিকেলভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান ঝালাই করা হচ্ছিল স্থানীয় বিপুলের গ্যারেজে। এ সময় আগুনের ফুলকি ছুটে কাভার্ডভ্যানটিতে আগুন লাগে। দ্রুত তা অন্য গাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পরিমল চন্দ্র কুন্ডু জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। যশোর, ঝিকরগাছা, মনিরামপুর ও অভয়নগরের ফায়ার স্টেশনগুলোও অগ্নিনির্বাপণের কাজে অংশ নেয়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও জানান, কাভার্ডভ্যানগুলোতে ক্যামিকেল থাকায় আগুন নেভাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দু’ধারে কয়েক কিলোমটিার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, স্থানীয় সরকার যশোরের উপ-পরিচালক মাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সূত্র : জাগোনিউজ ও প্রথমআলো
আপনার মতামত লিখুন :