✖

রিয়াদ হাসান: রাজধানীতে বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করেছেন বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির শীর্ষ নেতারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য সকলকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ লড়াই করছে। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এই আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিস হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি ও ভারতের উপ-হাইকমিশার বিনয় জর্জ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকে রহমানের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান। বিএনপির সিনিয়র নেতারা কূটনীতিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
তিনি বলেন, স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ লড়াই করছে। অতি সম্প্রতি ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। আমাদের দলের চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। 

ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আলম নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরীসহ আরো অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন ও মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারাও ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে কূটনীতিকদের নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

আরএইচ/এসবি২