শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০২৫, ০৭:২৬ বিকাল
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬ শ্রেণির দলিল ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে চিরতরে বাতিল হয়ে যাবে! (ভিডিও)

জমি রেজিস্ট্রেশনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। সরকার ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ছয় ধরনের অবৈধ দলিল চিরতরে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থনৈতিক প্রতারণা ও ট্যাক্স ফাঁকি সবকিছুর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি জোরালো বার্তা বহন করছে।

সরকারি ভূমি ও রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে দেশব্যাপী স্ক্যান ও অনলাইনকরণের মাধ্যমে দলিল যাচাইয়ের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে কিছু শ্রেণির দলিল শুধুমাত্র অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রযুক্তিগত ও আর্থিকভাবে অসম্ভব। সেই কারণেই একযোগে এই বিশেষ দলিল বাতিলের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

বিস্তারিতভাবে জানুন ওই ৬ ধরনের দলিলের প্রকৃতি 

১. হেবা (দানপত্র) দলিল: হেবা বা দানপত্রের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রক্তসম্পর্কে ১৪ শ্রেণির মধ্যে দান বৈধ বিবেচিত। রক্তবন্ধু নয় এমন কাউকে দান হলে সেসব দলিল সশস্ত্র আইন দ্বারা অকার্যকর ঘোষণা করা হবে। এই ধরনের অনৈচ্ছিক দান বা হেবা দলিল বাতিল হলে যারা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে জমি দখল করেছেন, তাদের মিথ্যে স্বার্থে আঘাত লাগবে।

২. ওসিয়তনামা দলিল: ওসিয়তনামা বা উইল (Will), যেটি সাধারণত মৃত্যুর পর সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য ব্যবহার করা হয়, তা কন্ডিশনাল এবং আইনি নিয়ম মেনে কার্যকর। আইন অনুসারে:

সম্পত্তির সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ (৩৩.৩%) পর্যন্ত ওসিয়ত করা যায়।

ওসিয়তপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজ পরিবার বা ওয়ারিশের বাইরে হতে হবে।

এই দু’টি শর্ত অমান্য হলে, ওসিয়ত দলিল নিজেই বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সেই ভিত্তিতে জমির মালিকানা দাবি আর গ্রহণযোগ্য হবে না।

৩. রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল: অনেকে মহুরি ও কবি সিল ব্যবহার করে দলিল তৈরি করেন, কিন্তু সরকারি রেজিস্টার অফিসে ফি না দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এড়িয়ে যান। এমন দলিল বৈধ হলেও রেজিস্ট্রেশনের পরিপন্থী হলে সরকারের কাছে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত না বলে গণ্য হয়। সেজন্য এসব দলিল বাতিল হবে এবং তার ওপর জমির মালিকানা দাবিতে আর কোনো ভিত্তি থাকবে না।

৪. জাল দলিল: জাল দলিল নির্মাণের মাধ্যমে জমি প্রতারণার ঘটনা দেশে প্রচলিত। এই ধরনের দলিল স্ক্যান ও অনলাইনকরণের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিত জাল দলিল বাতিল ঘোষণা করা হবে এবং যখন প্রয়োজন, ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করে প্রকৃত মালিকানা ফেরত পেতে পারবেন। সরকার এ বিষয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

৫. ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাপ্ত দলিল: রাজনৈতিক প্রভাব অথবা নির্দিষ্ট ক্ষমতার মাধ্যমে কেউ কেউ জোরপূর্বক জমির মালিক হয়ে আছেন এই ধরনের দলিলও বাতিলের আওতায় আসছে। যারা অনৈতিকভাবে জোর করে সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ ও ব্যালান্স নিশ্চিত করার এক নতুন পথ চালু হয়েছে।

৬. অংশের চেয়ে বেশি জমি বিক্রির দলিল: পারিবারিক ভূ-সম্পত্তির ক্ষেত্রে অংশীদারদের অংশ মেনে না কখনো অতিরিক্ত বিক্রি হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে মাধ্যমেই এই ধরনের জমি রেকর্ড করা হয়েছে। সরকার বলেছে একাধিক অংশের বেশি বিক্রি হয়ে গেলে, সেই দলিল বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তারা এখন বাঁধাসহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন।

উৎস:

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়