শিরোনাম
◈ ভারতীয় উদ্যোক্তারা মহাদুশ্চিন্তায়, ‘কীভাবে শ্রমিকদের বেতন দেব?’ ◈ নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ জরুরি অবস্থা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত নই: আইন উপদেষ্টা ◈ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত ◈ পুতুলের সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে ◈ আর্সেনালের বিরু‌দ্ধে  লিভারপু‌লের ক‌ষ্টের জয় ◈ রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ ◈ সাংবাদিকের লাশ মিলল রূপসা সেতুর নিচে, স্ত্রী নিখোঁজ ◈ #TrumpIsDead গুজব উড়িয়ে ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া: “জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছি” ◈ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যে মারাত্মক ঝড় বয়ে যাচ্ছে এতে অর্থনীতি-রাজনীতি-সমাজ সবকিছু বিপর্যস্ত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাসুল (সা.) যে কৌশলে ভুল সংশোধন করতেন!

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সেই ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি, বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।

ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।

মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।

রাসুল (সা.)-এর এই কৌশলগুলো আমাদের শেখায় যে ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়, বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়