বিমানের কর্মী সংকটে ভুগছে ভারতের বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। এতে সময় এবং চাহিদা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছে তারা। কর্মী সংকটের ফলে সংস্থাটি গত কয়েকদিনে কয়েকশত ফ্লাইট বাতিল করেছে। অভ্যন্তরীণ তথ্য বলছে, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংস্থাটি ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের ব্যস্ততম চার বিমানবন্দর। সেগুলো হলো- দিল্লি, মুম্বাই, হায়দারাবাদ ও বেঙ্গালুরু। ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে কারিগরি ত্রুটি, আবহাওয়া এবং ক্রুদের জন্য নতুন সময় সূচির কথা উল্লেখ করেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ আকাশপথে ৬০ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনাকারী এই স্বল্পমূল্যের সংস্থাটি প্রধান বড় শহর ও ছোট নগরীগুলোতে চলাচল করে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে তারা শুক্রবার পর্যন্ত ফ্লাইট সূচিতে ক্যালিব্রেটেড অ্যাডজাস্টমেন্ট বা নিয়ন্ত্রিত সমন্বয় আনছে। বৃহস্পতিবার সকালে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন দিল্লিতে ৩৩টি, মুম্বাইয়ে ৮৫টি এবং বেঙ্গালুরুতে ৭৩টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছে যাত্রীরা।
ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে ইন্ডিগোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ১ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিট (এফডিটিএল) নিয়মের কারণে পাইলট ও ক্রু–স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। নতুন নিয়মে কাজের সময় সীমিত এবং বিশ্রাম বৃদ্ধি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পাইলটস বলছে, এই বিপর্যয়ের জন্য নতুন নিয়মকে দায়ী করা যায় না, কারণ অন্য কোনো এয়ারলাইন এমন সংকটে পড়েনি।
দুই দশকের পুরোনো ইন্ডিগো সময়মতো উড়ান পরিচালনার খ্যাতির ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের সময়নিষ্ঠতার হার কমছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম লোকালসার্কেলস-এর সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, গত এক বছরে ইন্ডিগো ব্যবহাকারী যাত্রীদের ৫৪ শতাংশ সময়-সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।