শিরোনাম
◈ ভূমিকম্পে ঢাকায় আরমানীটোলায় ভবন ধস, আতঙ্কে রাস্তায় মানুষের ভিড়, ধসে পড়েছে একাংশ ◈ 'এখনই তত্ত্বাবধায়ক' দাবি থেকে কেন সরে এলো বিএনপি ও জামায়াত? ◈ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতাও ◈ আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীর বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে চার্জশিট জমা ◈ হামজা চৌধুরীর অভিনন্দন বার্তা পে‌য়ে বিস্মিত মুশফিকুর র‌হিম ◈ ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প ◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০৮ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজায় ইসরাইলের নতুন হাতিয়ার স্যামসাং ফোন

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার মধ্যেই গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইসরাইল। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। 

পাশাপাশি অবরুদ্ধ উপত্যকায় মানবিক সংকটের মাত্রা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এহেন অবস্থায় ইসরাইলি স্পাইওয়্যার অ্যাপক্লাউডের সঙ্গে স্যামসাং মোবাইল ফোনের সম্পর্ক ব্যাপক উদ্বেগ এবং নিরাপত্তাগত প্রশ্নের ঢেউ তুলেছে।

সম্প্রতি পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষায়িত ডিজিটাল নিরাপত্তা সহায়তা প্ল্যাটফর্ম ‘SMEX’ এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানিয়েছে।

বৈরুতে অবস্থিত প্ল্যাটফর্মটির সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু স্যামসাং ফোন, বিশেষ করে গ্যালাক্সি এ এবং গ্যালাক্সি এম সিরিজ, যা পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বাজারে বেশ জনপ্রিয়। এতে অ্যাপক্লাউড নামে একটি ইসরাইলি প্রোগ্রাম রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের অজান্তেই এবং সম্পূর্ণরূপে অপসারণের সম্ভাবনা ছাড়াই ডিভাইসগুলোতে ডিফল্টভাবে ইনস্টল করা থাকে। 

ইরানি সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি কোম্পানি আয়রনসোর্স দ্বারা তৈরি এই প্রোগ্রামটির ব্যাপক অ্যাক্সেস রয়েছে, যা স্পষ্ট সম্মতি বা স্পষ্ট গোপনীয়তা নীতি ছাড়াই ব্যবহারকারীদের ভৌগোলিক অবস্থান, আইপি ঠিকানা এবং ডিভাইসের আঙ্গুলের ছাপগুলোতে অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘যারা মোবাইল ফোন বহন করে, তারা নিজেদের সঙ্গে ইসরাইলের একটি অংশ বহন করে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অ্যাপক্লাউড অপারেটিং সিস্টেমে গভীরভাবে সংহত এবং কেবল সেটিংসের মাধ্যমে আংশিকভাবে অক্ষম করা যেতে পারে; যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে অপসারণের জন্য রুট অ্যাক্সেস প্রয়োজন, যা ফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল করে। এই বিষয়গুলো ব্যবহারকারীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির ক্ষেত্রে গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা শেহাব এ সংক্রান্ত আল জাজিরার একটি প্রতিবেদন পুনঃপ্রকাশ করে লিখেছে, ‘গাজা যখন একটি গুরুতর মানবিক সংকটের মুখোমুখি, ঠিক সেই সময় (গত মাসে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে) সেখানে স্মার্টফোনের অস্বাভাবিক আগমন এই ডিভাইসগুলোর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের বাজারে বিপুল সংখ্যক ফোন প্রবেশ করানো ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম আমদানির ওপর পূর্ববর্তী বিধিনিষেধের বিরোধিতা করে এবং গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার হাতিয়ার হিসাবে তাদের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে জল্পনাকে উসকে দেয়। যেমনটি ২০২৪ সালে লেবাননে ঘটেছিল। ওই সময় সেখানে ওয়্যারলেস ডিভাইস (পেজার) বিস্ফোরণ ঘটেছিল এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এবং কর্মীরা মোবাইল ফোনগুলোকে একেকটা ‘টাইম বোমা’ হিসাবে বর্ণনা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে, দখলদার শাসক গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই আমদানি করে না। 

তীব্র মানবিক সংকটের মধ্যে দিন-রাত কাটানো ফিলিস্তিনিদের জন্য যেখানে তাঁবু এবং নির্মাণ সামগ্রী আমদানি নিষিদ্ধ, সেখানে ফোনের বিশাল আমদানি ইসরাইলের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে।

সূত্র: যুগান্তর 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়