শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৮৭ বছর বয়সেও স্কুটি চালিয়ে বেড়াচ্ছেন মন্দাকিনী শাহ

বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, আবারো তার প্রমাণ দিলেন তিনি। ৮৭ বছর বয়সেও স্কুটি নিয়ে রাস্তায় দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। বলছিলাম ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা মন্দাকিনী শাহের কথা। এই বয়সেও তিনি বোনকে নিয়ে আহমেদাবাদের সড়কে স্কুটি চালিয়ে বেড়ান।

সম্প্রতি দুই বোনের স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়। এই বয়সেও স্কুটি চালিয়ে চলাফেরা করা মন্দাকিনী দেশের বহু মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।

এই বৃদ্ধা হিউম্যানস অব বোম্বেকে জার্নান, তিনি ছোট বোন উষাকে খুবই ভালোবাসেন। উষাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বিশ্বস্ত স্কুটিতে চড়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়া তার জন্য দারুণ আনন্দের কাজ।

লোকজন যখন মন্দাকিনীকে প্রশ্ন করেন, ৮৭ বছর বয়সে এসেও তিনি কেন স্কুটি চালাচ্ছেন? তিনি খুব সাধারণভাবে জবাব দেন, ‘ কেন নয়?’

মন্দাকিনী আরও বলেন, তিনি ৬২ বছর বয়সে স্কুটি চালানো শিখেছেন। তার কাছে নিজের স্বাধীনতা সব সময়ই মূল্যবান।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় খুব কম বয়সেই মন্দাকিনীকে পরিবারের অনেক দায়িত্বই কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে। তার বাবা স্বাধীনতাসংগ্রামী ছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন মন্দাকিনীর বাবা, পুঁজির অভাবে ব্যর্থ হন। তাই টাকাপয়সার টানাটানি সব সময়ই ছিল।

মন্দাকিনী তার মাকে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছেন। সেটা দেখেই তিনি আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে মন্দাকিনী বাল মন্দিরে শিশুদের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন, যদিও সে সময় তিনি ইংরেজিতে বেশ দুর্বল ছিলেন।

তারপর এই নারী সমাজকল্যাণমূলক নানা প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। কাজের সূত্রে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মেশার এবং তাদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন।

এ কাজে মন্দাকিনী সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ জন্য একে একে তিনি স্কুটির মতো দেখতে হালকা যান ( মোপেড) চালানো শিখেছেন। তারপর জিপ চালানো এবং শেষ পর্যন্ত ৬২ বছর বয়সে এসে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটি কিনে সেটি চালানো শুরু করেন।

মন্দাকিনীর জীবনযাপনের সরল নীতি হলো স্বাধীনভাবে বাঁচা। মন্দাকিনী বিয়ে করেননি। কেন তিনি বিয়ে করছেন না, বহু বছর মানুষ তাকে এ প্রশ্ন করেছেন।

এমনকি কেউ কেউ মনে করতেন, তিনি বিধবা। ওই সব মানুষ স্বামী ছাড়া একজন নারীকে অসম্পূর্ণ মনে করেন। কিন্তু মন্দাকিনীর কাছে জীবন প্রতিদিনই নতুন করে ধরা দেয়। একবার তিনি বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু জীবন তাকে ভিন্ন পথ দেখিয়েছে এবং তিনি সেই পথ অনুসরণ করে চলছেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়