ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গারোয়া জেলার মাঝিয়াওয়ান এলাকায় ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সরকারি বাসভবনে প্রেমিকার সঙ্গে একান্ত সময় কাটাচ্ছিলেন এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরো দৃশ্য হাতেনাতে ধরে ফেলেন তার স্ত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওই কর্মকর্তার নাম প্রমোদ কুমার, যিনি পেশায় একজন সার্কেল অফিসার (CO)। গত শনিবার স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে প্রমোদ কুমার তার প্রেমিকাকে সরকারি কোয়ার্টারে নিয়ে আসেন। কিন্তু হঠাৎই তার স্ত্রী শ্যামা রানি বাসায় পৌঁছে যান এবং ঘটনাস্থলেই স্বামী ও প্রেমিকাকে ঘরের ভেতর আটকে দেন।
সূত্র বলছে, প্রমোদ কুমার তখন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন এবং দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন, কিন্তু স্ত্রী কোনোভাবেই রাজি হননি। বরং পুরো ঘটনাটি দেখতে বাইরে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা। মুহূর্তেই এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা ও কৌতূহল।
হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও নাটকীয় হয়ে ওঠে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রমোদ পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাড়াহুড়ো করে ছাদ থেকে লাফ দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, প্রমোদের সরকারি বাসভবনের ভেতর থেকে তার প্রেমিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
এ ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানান প্রতিক্রিয়া— কেউ বলছেন “ন্যায্য শিক্ষা”, আবার কেউ সমালোচনা করছেন ব্যক্তিগত জীবনে এমন প্রকাশ্য ঘটনার।
তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন এবং প্রমোদ কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ