উত্তর পাকিস্তানের ইয়াসিন, হুনজা ও নগর উপত্যকার হুনজা সম্প্রদায়ের নারীরা দীর্ঘায়ু ও সৌন্দর্যের জন্য বিশ্ববাসীর জন্য রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হুনজা নারীদের আয়ু প্রায় ১৫০ বছরেরও বেশি এবং ষাট-সত্তর বছর বয়সেও তাদের চেহারায় তরুণত্ব ধরে থাকে।
হুনজা সম্প্রদায়ের জীবনধারা স্বতন্ত্র, স্বাবলম্বী ও প্রাকৃতিক। কৃষি নির্ভর জীবন, পরিশ্রমী শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তাদের দীর্ঘায়ুর মূল চাবিকাঠি। হুনজাদের খাদ্যতালিকা মূলত ফল, শাকসবজি, আখরোট ও দুধ-ডিমে সমৃদ্ধ। এছাড়া বছরে ২–৩ মাস তারা কঠিন খাবার এড়িয়ে কেবল ফলের রস খেয়ে থাকে।
বিশ্ব মিডিয়ায় হুনজা সম্প্রদায়ের দীর্ঘায়ুর উদাহরণ হিসেবে একটি বিস্ময়কর ঘটনা উল্লেখ করা হয়। ১৯৮৪ সালে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে আব্দুল মোবাত নামে এক হুনজা ব্যক্তিকে দেখা যায়, যার পাসপোর্টে জন্মসাল ১৮৩২ উল্লেখ ছিল। অর্থাৎ, তিনি তখন ১৫২ বছর বয়সী। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রথমে অবাক হয়েছিলেন, তবে পরে নিশ্চিত হন যে তার বয়স সত্যিই এতই বেশি।
হুনজা জনগণের আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, তারা প্রায়শই ক্যান্সারমুক্ত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হুনজাদের খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপই তাদের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ুর রহস্য। বিশেষ করে নারীরা ৬৫ বছরেও সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম বলে জানা গেছে।
সুস্থ জীবনধারা, প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও কম চাপের জীবন হুনজা নারীদের যৌবন ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করছে। বিশ্ববাসীর জন্য হুনজা সম্প্রদায় আজও রহস্য ও অনুপ্রেরণার উৎস।
সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ