শিরোনাম
◈ চলতি মাসেই বাংলাদেশ-মার্কিন শুল্ক চুক্তির আশা ◈ ইসরায়েল ইস্যুতে দোহায় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ◈ ‘নতুন বেতন কাঠামোতে ভাতা, অবসর সুবিধা ও বিশেষায়িত চাকরির বেতনও অন্তর্ভুক্ত হবে. ◈ বাংলা‌দেশ ক্রিকেট বো‌র্ডে নির্বাচন ৪ অক্টোবর ◈ রা‌তে ইং‌লিশ লি‌গে দুই ম্যানচেস্টারের লড়াই ◈ দেশে অবৈধ অস্ত্র আসছে, তা নিয়ে উদ্বেগ আছে: বাবর (ভিডিও) ◈ পেনাল্টিতে ব্যর্থ মেসি, ৩-০ গো‌লে হে‌রে গে‌লো ইন্টার মায়া‌মি ◈ নাটোরে মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান আটকিয়ে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট   ◈ জটিল পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া : সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধের প্রধান সমন্বয়ক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০১:৪৩ দুপুর
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিরের পেট থেকে ইন্দোনেশিয়ান নারীর অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরার গল্প! (ভিডিও)

সাত মাস আগে ইন্দোনেশিয়ার এক নারী কুমিরের ভয়াবহ আক্রমণ থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি জানালেন সেই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা।

ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় শহর মামুজিতে বসবাস করেন মুনির্পা নামে এক নারী। ভোরবেলায় তিনি বাড়ির পেছনের একটি খালে আবর্জনা ফেলতে যান। কিন্তু সেদিন ঘটে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা।

আবর্জনা ফেলে বাড়ির দিকে ফিরে আসার মুহূর্তে, ১৩ ফুট লম্বা একটি বিশাল আকৃতির কুমির অতর্কিতে তাঁকে আক্রমণ করে। ভয়ঙ্কর ওই জন্তুটি হিংস্রভাবে মুনিরার শরীর কামড়ে ধরে এবং টেনে নিয়ে যেতে থাকে। কুমিরের ধারালো দাঁতে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।

বেদনায় কাতর হয়ে চিৎকার করতে থাকেন মুনির্পা। তাঁর আতঙ্কিত চিৎকার শুনে স্বামী দ্রুত ছুটে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, স্ত্রীকে কুমির প্রায় গিলে ফেলেছে—শুধু মাথাটি দৃশ্যমান।

স্ত্রীর এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখে কোনো কিছু না ভেবেই দৈত্যাকার কুমিরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। প্রাণপণ লড়াই করে তিনি শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে কুমিরের মুখ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

তবে গুরুতর আহত অবস্থায় মুনির্পাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তাঁকে দুটি বড় অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘ সাত মাস ধরে চলে তাঁর চিকিৎসা ও পুনর্বাসন।

সম্প্রতি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে মুনির্পা বলেন, "আমি আর কখনো সমুদ্রে যেতে চাই না, এমনকি বাড়ির পেছনেও একা যেতে সাহস পাই না। আমার সন্তানদেরও নদী বা সমুদ্রের আশেপাশে যেতে নিষেধ করেছি। আমি চাই না আমার পরিবারের কেউ এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হোক।"

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়