শিরোনাম
◈ মাঝরাতে ‘ছিলাম, আছি এবং থাকব’ লিখে ঢাবি শিবির সভাপতির স্ট্যাটাস ◈ আগামী সপ্তাহে রদবদলের আভাস উপদেষ্টা পরিষদে  ◈ নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চান জেলা প্রশাসকরা ◈ ভারতে আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া উচিত: শুভেন্দু অধিকারী  ◈ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে পদ পাওয়ার যোগ্যতা জানালেন উপদেষ্টা ◈ বিএনপির কাউন্সিল: ভোটারের চেয়ে ভোট বেশি পড়ায় ফল স্থগিত ◈ উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা  ◈ হাসিনা তার দলীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে টিসুর মতো ব্যবহার করেছেন: সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেনের নেতৃত্বেই ছাত্রদের নতুন দল ◈ লিবিয়ার বেনগাজি বন্দিশালা থেকে ৬৬ লাখ টাকা দিয়ে মুক্ত দুই বাংলাদেশি, ৫ স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে মানবপাচারকারী

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:১৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংবাদ সম্মেলনে তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন, টেনে বের করে দেওয়া হয় সাংবাদিকদের (ভিডিও)

বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তোপের মুখে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন। যা এক পর্যায়ে রূপ নেয় উত্তপ্ত বিতর্কে। ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাকারী ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ সময় সেখানে হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তাকর্মীরা দুই সাংবাদিককে জোর করে ধরে সম্মেলন কক্ষের বাইরে নিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে গত ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ ঘিরে নিজের কূটনৈতিক তৎপরতার পক্ষে কথা বলছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন সাংবাদিকেরা।

স্যাম হুসেইনি নামের এক সাংবাদিক চিৎকার করে বলেন, ‘অপরাধী! আপনি কেন হেগে নেই।’

দীর্ঘদিন বহির্বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই স্বাধীন সাংবাদিক মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

পরে পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং কক্ষের নিরাপত্তাকর্মীরা হুসেইনিকে ধরে নিয়ে যায়। তারা এই সাংবাদিককে জোর করে কক্ষের বাইরে নেওয়ার সময় তিনি ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে অবমাননাকর নানা প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন।

কয়েক দশক ধরে চলে আসা ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে সর্বশেষ এই রক্তপাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। তখন থেকে ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসার জন্য সমালোচিত হয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ম্যাক্স ব্লুমেনথাল নামের আরেক সাংবাদিক ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘মে মাসে যখন একটি চুক্তি হয়েছিল তখন কেন আপনি বোমা পাঠিয়ে গিয়েছিলেন?’

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করলে সংবাদমাধ্যম গ্রেজোনের সম্পাদক ব্লুমেনথালকেও নিরাপত্তাকর্মীরা কক্ষের বাইরে নিয়ে যান।

আগামী সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে চলা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজের বক্তব্য শেষে সাংবাদকিদের প্রশ্ন করতে বলেন। সে সময় তিনি ছিলেন খুবই শান্ত। কিন্তু এরপর তাকে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়