বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান মহিউদ্দিন রনি ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে কোতোয়ালী মডেল থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জুয়ের চন্দ্র শীল।
জুয়ের চন্দ্র শীল বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের মধ্যবর্তী গেটে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের দাবিতে মানববন্ধন চলছিল। তখন মহিউদ্দিন রনি, রাকিন, সুনান, সিফাত, শামিম, আল মুসা, সিফা, দাইয়ান, কাফি, এইচ এম আবুল খায়ের, নুরুন নাহার, মো. সিয়ামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জন চাপাতি, লোহার পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী রফিকুল পাটোয়ারী, শামীম, হাসান, সাকিব, জাকারিয়া রুবেল, নুসরাত মণ্ডল, অফিস সহায়ক মো. পারভেজ, ফয়সাল রাব্বি, আয়া সেলিনা ও লিফটম্যান শাকিল গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা মহিলা নার্স ও আয়াকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করালেও, হামলাকারীরা জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ১৮ দিন ধরে ছাত্র-জনতা দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, গায়েবানা জানাজা, বিক্ষোভ মিছিল ও বরিশাল অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। আন্দোলনকারীদের এ দাবি ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে শেবাচিমের কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসক, ইন্টার্ন ও নার্সরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে যৌথ বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নেন।